নিজস্ব প্রতিবেদক:
দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে রোববার রাতে বাসা থেকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। সোমবার সকালে ডিএমপি জানিয়েছে, শহীদুল আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রোববার রাত পৌনে ১১ টার দিকে শহিদুল আলমকে ধানমণ্ডির ৯/এ সড়কের বাসা থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে দৃকের কমিউনিকেশন অফিসার আমিনা নেয়ামত জানিয়েছেন।
শহিদুলের স্ত্রী রেহনুমা আহমেদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, রাত পৌনে ১১টার দিকে তাকে ধানমণ্ডি থানায় নিয়ে যাওয়া হলেও ১২টার দিকে সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি। তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা ধানমণ্ডি থানা থেকে আমাদের বলা হচ্ছে না।
এই অভিযোগ অস্বীকার করে ধানমণ্ডি থানার ওসি আব্দুল লতিফ বলেন, শহিদুল আলমকে কে বা কারা তার বাসা থেকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে বলে তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ জানাতে থানায় এসেছেন। শহিদুল আলমকে ধানমণ্ডি থানায় আনা হয়নি।
এবিষয়ে জানতে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এদিকে দৃকের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়েছে, দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলমকে ‘জোরপূর্বক’ তার ধানমন্ডির বাসা থেকে রোববার রাত ১০টার পর ‘অপহরণ করা হয়েছে’।
বিবৃতিতে বলা হয়, এপার্টমেন্ট বিল্ডিংটির দারোয়ান এবং অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, ৩০ থেকে ৩৫ জন সাদা পোশাকধারী নিজেদেরকে ‘ডিবির লোক’ পরিচয় দিয়ে শহিদুলকে বাসা থেকে নামিয়ে আনেন। তাকে জোর করে বাইরে অপেক্ষারত একটি ‘হাই এইস’ গাড়িতে তোলার সময়ে তিনি চিৎকার করছিলেন এবং গাড়িটির বাইরের গায়ে লেখা ছিল, ‘পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স’।
তারা বিল্ডিংটির সিসিটিভি ক্যামেরাটি টেপ করে দিয়ে, সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে চলে যান এবং বাসার দারোয়ানদেরকে তালাবদ্ধ করে রেখে যান বলে দৃকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
“এ সময় শহিদুলের স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ পার্শবর্তী ফ্লাটে ছিলেন, তার চিৎকার শুনে উনি সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে নেমে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে তাকে বহনকারী গাড়িটি এবং এর সাথে থাকা আরো দুইটি গাড়ি দ্রুতবেগে চলে যায়।”