আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইরানের বিভিন্ন শহরে চতুর্থদিনের মতো বিক্ষিপ্ত বিক্ষোভ-সমাবেশ করছেন দেশটির নাগরিকরা। ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয়ার পর বিক্ষোভ করে আসছেন তারা। চতুর্থদিনে বিক্ষোভকারীরা তেহরানের পশ্চিমাঞ্চলে শিয়া মতাবলম্বীদের একটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে হামলা করেছে।
শনিবার দেশটির রক্ষণশীল আধা-সরকারি সংবাদসংস্থা ফারস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, রাজধানী তেহরানসহ দেশের বিভিন্ন শহরে শত শত মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। দেশটির উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও আগামী ৭ আগস্ট থেকে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা আসার পর এই বিক্ষোভের ডাক দেন তারা।
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির পারমাণবিক চুক্তি থেকে গত মে মাসে বেরিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তির পর দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচির লাগাম টানার লক্ষ্যে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল; শেষে তা সীমিত করা হয়।
চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তেহরানকে হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে দেশটির বিরুদ্ধে পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন। এমনিক ইরান থেকে যেসব দেশ পণ্য আমদানি করবে তাদের বিরুদ্ধেও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের মতো ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
জীবনযাত্রায় ব্যয় বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক দুর্নীতির অভিযোগ এনে চারদিন আগে ইরানে এই বিক্ষোভ শুরু হলেও দ্রুত তা সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নিয়েছে।
ফার্স বলছে, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে তেহরান থেকে ১০০ কিলোমিটার পশ্চিমের শহর এশতেহার্দে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দাঙ্গা পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় অন্তত ৫০০ বিক্ষোভকারী শিয়া মুসলিমদের একটি স্কুল লক্ষ্য করে পাথর, ইট নিক্ষেপ করে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এক বিক্ষোভকারীর দেয়া ভিডিওতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা ‘স্বৈরশাসকের মৃত্যু চাই’ বলে স্লোগান দিচ্ছেন। তবে ওই ভিডিও বিক্ষোভের সময় ধারণ করা হয়েছে কি-না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে, ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বলছে, দেশের পথ তৈরির জন্য ইরানি জনগণ যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়, তখন ইরানের জনগণের দাবিকে আমেরিকা সমর্থন করছে; যা দীর্ঘ সময় ধরে উপেক্ষিত হয়ে আসছে।