নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের ভোট কেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদান এবং বিরোধীদলের এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘ক্ষমতাসীনরা অহংকার আর উন্মত্ততায় বিচার-বুদ্ধি হারিয়ে ক্ষমতায় হিংস্র হয়ে নির্বাচনী বিজয় জোর করে ছিনিয়ে নিতে চাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আত্মা বিক্রিকারী নির্বাচন কমিশন ভোট শেষে অনুশোচনাহীন চরম মিথ্যাচার করে বিবৃতি দেবে। অবৈধ সরকারকে খুশি করতে নির্বাচন কমিশন নিজেদের স্বাধীন ক্ষমতাকে নিজেরাই হরণ করেছে। নির্বাচন কমিশন এখন একটি প্যারাসাইট। বর্তমান নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিপক্ষ।’
তিন সিটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে সোমবার দুপুরের আগে রাজধানীর নয়াপল্টনে প্রথম দফা সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী আহমেদ।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণার প্রথম থেকে সরকারের নীল নকশার নির্বাচন নিয়ে আমরা যে অভিযোগগুলো করেছিলাম সেটিরই নগ্ন বহিঃপ্রকাশ তিন সিটিতেই ফুটতে শুরু করেছে। আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের জন্যই সরকার তিন সিটির ভোট নিয়ে অনাচারে লিপ্ত হতে পেরেছে। নির্বাচন কমিশন উচিৎ-অনুচিতের এথিক্সের ধার ধারেনি বলেই নির্বিকার থাকছে এবং নৌকার প্রার্থীকে ভোট ডাকাতিতে উৎসাহ যুগিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীনদের অসংখ্য অনিয়ম ও নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ কমিশন কানে তোলেনি। কমিশন মুক ও বধির হয়ে গেছে। অবৈধ সরকার ও মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন অনিবার্য সম্বন্ধসূত্রে গ্রোথিত।’
রিজভী বলেন, ‘বর্তমান সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় থেকে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এরা কখনোই সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে দেবে না। কেন্দ্র দখল, বিরোধীদলের পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে তাড়িয়ে দেয়া, জালভোটে ব্যালটবাক্স পূর্ণ করার ‘হাসিনা মার্কা’ নির্বাচনকেই বাংলাদেশের নির্বাচনের মানদণ্ড করা হয়েছে। শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন ততদিনই এই মানদণ্ড অনুযায়ী নির্বাচন হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া, আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরফত আলী শপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী সদস্য রফিক শিকদার, শামসুজ্জামান সুরুজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।