আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ঢাকা ও পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় একই দিনে পৃথক দুই মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। কাকতালীয়ভাবে মিলে গেছে আরো কিছু বিষয়।
কলকাতায় ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস জোটের ডাকে মহাসমাবেশটি করা হচ্ছে। এদিকে বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেওয়া গণসংবর্ধনা যেন মহাসমাবেশে রূপ নিয়েছে।
কলকাতার জনসভাতেও তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে বিপুলসংখ্যক মানুষ উপস্থিত হয়েছে। সেখান থেকে রীতিমতো দিল্লি দখলের ডাক উঠেছে।
পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় কলকাতার মহাসমাবেশে বলেন, আমরা চেয়ারকে কেয়ার করি না, আমরা দেশকে ভালোবাসি।
পশ্চিমবঙ্গে এ বছর তৃণমূল কংগ্রেসের শহীদ স্মরণের ২৫ বছর। এজন্য আয়োজিত সমাবেশে প্রায় সব বক্তারই লক্ষ্য ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট। বিজেপি হঠানোর ডাক উঠল সমাবেশে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে লোকসভা ভোটে ৪২-এর মধ্যে ৪২টাই দখলের ডাক দিলেন বক্তারা।
কলকাতার ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউজকে ঘিরে যেন জনসমুদ্র জমে উঠেছে। দফায় দফায় বৃষ্টিও ভিড়কে দমাতে পারেনি।
জনসমাবেশেই কংগ্রেসের পাঁচজন বিধায়ক মঞ্চে এসে যোগ দিলেন তৃণমূলে। মঞ্চে দেখা গেল বামপন্থী লেখক-বুদ্ধিজীবী আবুল বাশারকেও। বহিষ্কৃত সিপিএম সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ও মঞ্চে উপস্থিত হন।