নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণ শেষে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনার মাধ্যমে বরণ করতে রাজধানীর রাস্তায় দেখা গেছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ঢল।
আজ শনিবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও দলটির অন্য অঙ্গসংগঠনগুলো প্রধানমন্ত্রীকে গণসংবর্ধনা জানাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। শেখ হাসিনাকে বরণ করতে বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে হাজার হাজার নেতাকর্মীর ভিড় জমেছে। তবে রাস্তার বাম পাশে ভিড় বেশি। হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে তাদের। অনেকে সবুজ টি-শার্ট ও ক্যাপ পরে এসেছেন।
এদিকে বিমানবন্দর থেকে লা মেরিডিয়ান হোটেল এলাকায় তুরাগ থানা, বিমানবন্দর থানা ও দক্ষিণখান থানার নেতাকর্মীরা জড়ো হয়েছেন। লা মেরিডিয়ান হোটেল থেকে খিলক্ষেত ব্রিজ পর্যন্ত উত্তরা পূর্ব ও পশ্চিম থানা ও ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীরা ভিড় জমিয়েছেন।
উন্নয়ন ও অর্জনে অনন্য সফলতার স্বীকৃতিস্বরূপ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা দিতে যাচ্ছে দলটি। শনিবার বিকালে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই গণসংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। সমাবেশে যোগ দিতে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইটের মুখে জড়ো হচ্ছেন। এ সময় তাদের শরীরে দেখা গেছে জাতীয় পতাকার রঙে বর্ণিল পোশাক।
রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়াম থেকে কাকলি মোড় পর্যন্ত বাড্ডা, গুলশান এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়েছেন। মহাখালী থেকে জাহাঙ্গীর গেট পর্যন্ত অবস্থান নিয়েছে তেজগাঁও ও তেজগাঁও শিল্প এলাকার নেতাকর্মীরা। এদিকে র্যাংগস ভবন থেকে গণভবন পর্যন্ত মোহাম্মদপুর ও শেরেবাংলা নগর এলাকার নেতাকর্মীরা জড়ো হয়েছেন।
এদিকে রাজধানীর গুলিস্তান, ফার্মগেট ও শাহবাগ এলাকায় সকাল ৮টার পর থেকে শুরু হয়েছে তীব্র যানজট। তাই এই এলাকাগুলো থেকে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা জানাতে অনেক নেতাকর্মীকে হেঁটে রওনা দিতে দেখা গেছে।
বিমানবন্দর এলাকায় জড়ো হয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের একটু পর পর জয় বাংলা স্লোগান দিতে দেখা গেছে। এ ছাড়া হাততালি, ঢাক- ঢোল পিটিয়ে, গান বাজিয়ে ও হ্যান্ড মাইকে স্লোগান দিয়ে উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে তাদের।
প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা উপলক্ষে আওয়ামী লীগের এ আয়োজনে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য। রাজধানীর রাস্তাগুলোতে জল কামান, টিয়ারশেলসহ অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।