নিজস্ব প্রতিবেদক:
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে ব্যাপক অনিয়ম, সীমাহীন দুর্ণীতি ও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অমুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত করে মন্ত্রনালয়ে প্রেরণের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশ। শনিবার সকালে প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যুদ্ধকালীন ইয়ং অফিসার (সুন্দরবন সাব-অঞ্চল, ৯ম সেক্টর) মজিবুল হক খান মজনু। এসময় বক্তব্য রাখেন, সাবেক পিরোজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সাদিকুর রহমান, ভারতের আমলানি যুব প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের পলিটিক্যাল মোডিভেটর মোস্তফা শাহ আলম দুলাল, মুক্তিযোদ্ধা হালিম জমাদ্দার, জাহাঙ্গীর হোসেন ও ইয়াকুব আলী প্রমূখ।
লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বাচ্ছু মিয়া আকনসহ ওই কমিটির অনেকেই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নের বাদপড়া ৪০/৫০ জন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার স্থলে যাচাই-বাছাই কমিটি প্রায় আড়াই কোটি টাকার বিনিময়ে ৩’শ জনের তালিকা করে কেন্দ্রে পাঠায়। যাতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা অনেকেই যাচাই-বাছাই কমিটির দাবীকৃত টাকা দিতে না পারায় ওই তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হতে পারেনি বলে অভিযোগ আনা হয়। সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী, দুটি যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী তুষখালী গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমান, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের অবসরপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেনসহ কয়েকজন অমুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করে কেন্দ্রে পাঠায় যাচাই-বাছাই কমিটি। এছাড়া অনেকেই অনলাইনে আবেদন করেও যাচাই বাছাই কমিটির সম্মুখে উপস্থিত না হলেও তাদেরকে বাড়ী থেকে ডেকে এনে প্রচুর টাকার বিনিময়ে নিজেরা প্রত্যয়নপত্র দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেছেন। আরও অভিযোগ করা হয়, এক তালিকা ভুক্ত ১৩২ জন মুক্তিযোদ্ধাদের নাম মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয় থেকে সরকারিভাবে আপত্তি দিয়ে যাচাই-বাছাই কমিটির সম্মুক্ষে উপস্থিত হবার জন্য দেয়া হয়েছিল কিন্তু মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে আপত্তি থাকা সত্ত্বেও অধিকাংশ অমুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা ভুক্ত করে মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়েছেন।
দৈনিক দেশজনতা/এমএম