ক্ষমতাসীনরা ইফতারেও বাধা দিচ্ছে: মির্জা আলমগীর

সংবাদ সম্মেলনে গত শুক্রবার ঢাকার কেরানীগঞ্জের হয়রতপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে বায়তুল আমান জামে মসজিদে ইফতার অনুষ্ঠানে ক্ষমতাসীন দলের ইউনিয়নের সভাপতি আনোয়ার হোসেন আয়নাল, লেচু ওরফে লেচ্ছা ও জাহের আলীর নেতৃত্বে সশস্ত্র হামলা করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সারাদেশে বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিল ভেঙে দিচ্ছে। কোথাও কোথাও অনুমতি দিচ্ছে না, কোথাও কোথাও সরকারি দলের সঙ্গে যোগসাজশ করে পুলিশ চড়াও হচ্ছে, আক্রমণ হচ্ছে। গতকাল (শুক্রবার) কেরানীগঞ্জে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে যা গণমাধ্যমেও এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘এই ধরনের আক্রমণ বা বাধা প্রদান শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলের ওপর আক্রমণ নয়, ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ওপরও এই সরকার আক্রমণ করছে। যাকে আমরা মনে করি যে, মানুষের মৌলিক অধিকারকে হরণ করা হচ্ছে। আমরা সরকারের এহেন প্রতিবন্ধকতা ও আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’

ওই ঘটনার পর দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানের কেরানীগঞ্জের বাড়িতে হামলার বিষয়টি উল্লেখ তিনি বলেন, ‘আমানউল্লাহ আমান একজন প্রতিথযশা রাজনীতিবিদ, ডাকসুর ভিপি ছিলেন। তার বাড়িতে আক্রমণ হয়েছে। এই থেকে বুঝা যায়, কোনো দলের রাজনৈতিক নেতা বা কর্মী কেউই এখন নিরাপদ নয়, যখন আমান সাহেবের মতো নেতারাও আজ নিরাপদ থাকছেন না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, সরকার ও সরকারি দলের এহেন কর্মকাণ্ড গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। এই থেকে প্রমাণিত হচ্ছে, দেশের গণতন্ত্র নাই, গণতন্ত্রকে তারা ধ্বংস করছে।’

আমানউল্লাহ আমানের বাড়িতে হামলাসহ হযরতপুর ইউনিয়নের বায়তুল আমান মসজিদে হামলার ঘটনা বিচার দাবিও করেন মির্জা ফখরুল।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, জনগণ তাদের সাথে নেই। সেই কারণে তারা হামলার পথ বেছে নিয়েছে।’

রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ীদের শতাধিক বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে এর তদন্ত দাবি করেছেন মির্জা ফখরুল।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, চেয়ারাপরাসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, শামসুল আলম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপি নেতা আসাদুল করীম শাহিন, শাম্মী আখতার, যুব দলের মোরতাজুল করীম বাদরু প্রমূখ।

দৈনিক দেশজনতা/ এমএইচ