২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ২:২০

চবি ক্যাম্পাসে সূর্য অস্ত যেতেই বসে মাদক সেবনের আসর

নিজস্ব প্রতিবেদক :

পশ্চিমাকাশে সূর্য অস্ত যেতেই দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিভিন্ন স্পটে বসে মাদক সেবনের আসর। আর একটু রাত হলেই হলগুলোর বারান্দায় গাঁজা সেবন আর হলের নিজ কক্ষে ইয়াবা সেবন করতেও দেখা গেছে শিক্ষার্থীদেরও।

বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাসে মাদক এখন অনেকটাই সহজলভ্য। হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী, নিরাপত্তারক্ষী ও প্রভাবশালী কিছু ছাত্রনেতার মাধ্যমে সবুজ ক্যাম্পাসে মাদক প্রবেশ করে। মাদক ক্যাম্পাসে পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা হয় নাম্বারবিহীন মোটরসাইকেল এবং সিএনজি।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু অতি পরিচিত জায়গায় মাদক সেবনের আসর বসে। এক্ষেত্রে রেলস্টেশন, আইন অনুষদ ক্যান্টিন, এফ রহমান হলের বিপরীতে ট্যাঙ্কির পাহাড়, টেনিস কোর্ট, স্লুইস গেট, চবি কলেজের পেছনের অংশ, সোহরাওয়ার্দী হলের পেছনের লাল পাহাড়, জাদুঘরের সামনে, ফরেষ্ট্রি হ্যালিপ্যাড, ফরেষ্ট্রি গ্যারেজের পেছনে, কলা অনুষদ ঝুপড়ির পাশের পুকুর, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের পশ্চিম পাড়, শহীদ মিনার চত্বর, মুক্তমঞ্চ, প্যাগোডা, চাকসুর পেছনে, উস-প্রাইমারি স্কুল, হিল সাইড স্কুলের গলির ভেতর, শাহজালাল ও শাহ আমানত হলের সামনের বেশ কয়েকটি কটেজ, ল্যাডিস হলের ঝুপড়ির পেছনের অংশে অন্যতম। এসব জায়গায় শুধু যে শিক্ষার্থীরা মাদক সেবন করে তা নয়, বহিরাগতরা এসেও সেবন করে।

সন্ধ্যা হলেই ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে চিহ্নিত স্পটগুলোতে মোটরবাইকে করে মাদক দ্রব্য ও মাদকসেবনের যাবতীয় উপকরণসহ প্রবেশ করে স্থানীয় বখাটে ছেলেরা। এদের মধ্যে রেলগেইট ও হাটহাজারীর এগার মাইল সংলগ্ন এলাকার একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে নিয়মিত মাদক সরবরাহ করে আসছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের  রেলক্রসিং কেন্দ্রীক চক্রটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীন বিষয়েও হস্তক্ষেপ করার দুঃসাহস দেখায় প্রায়ই।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশাসনের নিয়মিত তদারকি ও অভিযান না থাকায় ক্যাম্পাসে মাদকের ছাড়াছাড়ি আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মাদকের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দীন চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীকে মাদকের সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার ছাত্রত্ব বাতিল করা হবে। দেশের প্রচলিত ফৌজদারী আইনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। হলসমূহের প্রভোস্ট, হাউজ টিউটর এবং পুলিশ প্রশাসনের যৌথ ভিজিলেন্স টিমকে কাজ করার নির্দেশ প্রদান করেছি। মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ট কাউকে ক্যাম্পাসে পাওয়া গেলে সাথে সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট সোপার্দ করা হবে বলেও জানান উপাচার্য।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :মে ৩০, ২০১৮ ১২:৪৫ অপরাহ্ণ