নিজস্ব প্রতিবেদক:
এ বছর সর্বনিম্ন ফিতরা জনপ্রতি ৭০ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে ১৪৩৯ হিজরি সনের সাদকাতুল ফিতর নির্ধারণের লক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ বছরের ফিতরার এ হার নির্ধারণ করা হয়।
সামর্থ্য অনুযায়ী গম বা আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির বা যবের যেকোনো একটি পণ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজার মূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা যাবে। গত বছর ফিতরার হার সর্বনিম্ন ৬৫ টাকা ও সর্বোচ্চ এক হাজার ৯৮০ টাকা ছিল।
প্রসঙ্গত, হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘রাসুলে আকরাম (সা.) এর জামানায় ঈদুল ফিতরের দিনে আমরা ফিতরা বাবদ (মাথাপিছু) এক সা পরিমাণ খাদ্য দান করতাম। আর আমাদের খাদ্য ছিল যব, কিশমিশ, মোনাক্কা, পনির ও খোরমা।’- (বুখারী শরীফ) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ছোট, বড়, স্বাধীন ও ক্রীতদাসের ওপর এক সা যব অথবা এক সা খোরমা সাদকাতুল ফিতর হিসেবে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন।
উপরোক্ত হাদীসসমূহের আলোকে আমাদের দেশে এক সা যব বা খোরমাকে একসের সাড়ে বারো ছটাক গম কিংবা আটাতে রূপান্তরিত করা হয়। উক্ত সম পরিমাণ খাদ্যদ্রব্য না দিয়ে নগদ টাকা দিলেও ফিতরা আদায় হয়ে যাবে। ফিতরা ঈদের নামাজের পূর্বে আদায় করা উত্তম।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি