আতিকুর রহমান, গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বড়ইতলী এলাকায় একটি মাদ্রাসায় ঢুকে এক এতিম শিশু ছাত্রকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর ২৭ মে রবিবার রাত থেকে ওই মাদ্রাসাছাত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।
ওই নেতার ভয়ে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ এখনও থানায় অভিযোগ করতে পারেনি। আহত মাদ্রাসাছাত্র আবদুল আখের (১০) মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানার চরকাঠালী গ্রামের মৃত ইউনুস মোল্লার ছেলে এবং ওই মাদ্রাসার নূরানী বিভাগের ছাত্র।
এলাকাবাসী ও মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, কালিয়াকৈর উপজেলার বড়ইতলী এলাকায় বড়ইতলী হালিমাতুল উমুল কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানা মাদ্রাসায় প্রতিদিনের মতো রবিবার ইফতার শেষে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী পাশের বড়ইতলী জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করতে যান। এ সময় ওই মসজিদে নামাজ আদায় করছিলেন গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কালিয়াকৈর উপজেলা আ’লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম। নামাজ আদায়কালে পেছন থেকে কে বা কারা তার চেয়ার সরিয়ে ফেলে। এতে তিনি ফ্লোরে পড়ে যান এবং ব্যথা পান।
পরে নামাজ শেষে তিনি ওই মাদ্রাসাছাত্রদের সন্দেহ করে তাদের ধাওয়া দেয়। ভয়ে ছাত্ররা দৌড়ে মাদ্রাসার ভেতরে চলে যায়। কিন্তু নজরুল ইসলাম মাদ্রাসার ভেতরে ঢুকে ছাত্র আখেরকে মারধর করে। এতে সে সংজ্ঞাহীন হয়ে ফ্লোরে পড়ে যায়। পরে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম বলেন, ওই ছাত্র পেছন থেকে হঠাৎ করে চেয়ার সরিয়ে নিলে পড়ে গিয়ে ব্যথা পাই। তাই ওই ছাত্রকে দু’টা চড়-থাপ্পড় মারি। এর সঙ্গে আরেকজন ছাত্র ছিল, তাকে ধরতে পারিনি।
কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, মাদ্রাসাছাত্রকে মারধরের বিষয়টি তার জানা নেই। তবে অপরাধ যেই করুক না কেন যদি অপরাধ করে থাকে তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ