নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বাজেটে কালো টাকা সাদা করার কোনও সুযোগ থাকছে না। কারণ অতীতে এই ধরনের অনেক সুযোগ দেয়া হয়েছে কিন্তু তাতে কোনো সুফল পাওয়া যায়নি।সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক প্রাক বাজেট আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট-এর উদ্যোগে ‘স্বপ্ন পূরণের বাজেট: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’র রূপরেখা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের সভাপতি ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মুহিত বলেন, চলতি ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বাজেট বাস্তবায়নের হার সন্তোষজনক নয়। বাজেট বাস্তবায়নের হার কমে যাওয়া সরকারের জন্য একটা ব্যাড সিগনাল। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আগামী অর্থবছর থেকে বাজেট বাস্তবায়ন যাতে সহজ হয় সেজন্য বিশেষ দিক-নির্দেশনা থাকবে। যাতে বাজেট অনুমোদনের পর পরই অর্থ খরচ করা যায়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে দক্ষ জনবলের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। ২০১১ সাল থেকে বাজেটে দক্ষ জনবল সৃষ্টিতে নানা পদক্ষেপে নেয়া হচ্ছে। এবারের বাজেটে দক্ষ জনবল সৃষ্টিতে বিশেষ পদক্ষেপ থাকছে। আগামী বাজেটে অবহেলিত জনগোষ্ঠী এবং সামাজিক সুরক্ষায় বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হবে।আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ২০১২ সাল থেকে বাজেট বাস্তবায়নের ক্রমান্বয়ে কমছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাজেট বাস্তবায়নের হার ৯৩ শতাংশ ছিল। গত কয়েকবছরে বাজেট বাস্তবায়নের হার ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে এখন ৮০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। এটি খুবই অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা. মামুন আল মাহতাবের উপস্থাপনায় বৈঠকে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, পিকেএসএফ’র চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সদস্য ড. শামসুল আলম, পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের চেয়ারম্যান ড. জাহিদ সাত্তার প্রমুখ।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর