অনলাইন ডেস্ক:
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে তিস্তার পানিবণ্টন ইস্যু আজও অমীমাংসিত। তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ক্ষেত্রে বড় অন্তরায়। তাঁর মতে, বাংলাদেশকে পানি দিলে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশকে এই ইস্যুটি সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে তিনি এখন পর্যন্ত ব্যর্থ।
শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের মধ্যে বহু সমস্যার সমাধান হয়েছে। কিছু সমস্যা এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে, তবে আমি সেসব বিষয় তুলে এই সুন্দর অনুষ্ঠানকে ম্লান করতে চাই না।’
কোনো শব্দ উচ্চারণ না করেই বার্তা দেওয়ার একটি দারুণ উদাহরণ এটি। ‘তিস্তা’ শব্দটি উচ্চারণ না করেও তিস্তার পানিবণ্টন ইস্যুটি তুলেছেন শেখ হাসিনা। তবে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি বারবার এসেছে তাঁর মুখে।
তিনি বলেছেন, ‘১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশে ১১ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রিত। তারা যখন এল, তাদের আশ্রয় দেওয়া উচিত বলে মনে হলো আমাদের। এমনকি নিজের থালার ভাতসহ আমাদের সীমিত সম্পদ তাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চেয়েছি। আমরা দ্রুততার সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চাই। মিয়ানমারকে অবশ্যই তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে চিন্তা করতে হবে। আমাদের দুই দেশকে অবশ্যই মিয়ানমারকে তাদের ফিরিয়ে নিতে বলতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগে বক্তব্য দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হিন্দু-মুসলিম সাম্য নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুলের কবিতা থেকে উদ্ধৃত করলেও তিস্তা নিয়ে কোনো কথাই বলেননি।
আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিস্তা, রোহিঙ্গা—কোনো ইস্যু নিয়েই কথা বলেননি। তিনি বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্য শেখ হাসিনার। এই লক্ষ্য অর্জনে তাঁকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা করবে ভারত।’
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ