টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের ভূঁঞাপুরে কাগমারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে দোকান নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় স্কুলের জমিতে ঘরসহ দোকানপাট নির্মাণ করা হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ বারবার দখলকৃত জায়গা ছেড়ে দিতে ও দোকান উচ্ছেদের কথা বলায় মিথ্যা মামলা করেছে দখলকারীরা। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
জানা যায়, উপজেলার কাগমারীপাড়ার একই পরিবারের আনছার আলী ভূঁইয়া, আব্দুল কাদের ভূঁইয়া‚ইয়া শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, আব্দুল মজিদ ভূঁইয়া ও ফেমেলি বেগম দীর্ঘদিন যাবৎ জোরপূর্বক কাগমারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখল করে আছে। তারা প্রথমে বাড়ি নির্মাণ ও এর কিছুদিন পরে স্কুলের মাঠ দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন।
বিদ্যালয় গেট ও মাঠের বাউন্ডারি নির্মাণ করার আগে দখলকারীদের দোকান উচ্ছেদ ও জমি ছেড়ে দিতে বলে স্কুল কৃর্তপক্ষ। এতে ক্ষুব্ধ দখলকারীরা উল্টো বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। যদিও দখলকারীরা যে দাগের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সেটি স্কুলের জমির দাগ না। ৪৮১-৮১ দাগের এক একর ২৬ শতাংশ জমি বিদ্যালয়টির হলেও মামলা হয়েছে ৪৯০ দাগের ১৭ শতাংশ জমির দাগের বিরুদ্ধে। শুধু মামলাই নয় স্কুলের জমি উদ্ধারে গেলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয়দের নানাভাবে হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে তারা।
কাগমারীপাড়া ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সভাপতি আকরাম হোসেন খান জানান, বিদ্যালয়ের জমি পরিমাপ করতে গেলেই দখলকারীরা মারতে আসেন। এছাড়াও আনছার ভূঁইয়ার মেয়ে লিপি ভূঁইয়া প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। তারা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারছে না।
কাগমারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা দিলআরা আফরুজ জানান, বিদ্যালয় মাঠের জমি ছেড়ে না দিয়ে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে দখলকারীরা।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ জানান, জুন মাসের মধ্যে বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে। দখলকারীদের কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা জমির কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি