২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ১১:৫৫

দুই প্রতিবেশী দেশ এক হয়ে চলতে চাই: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,‘আমরা দুই প্রতিবেশী দেশ এক হয়ে চলতে চাই। প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সমস্যা থাকতে পারে। কিন্তু একে একে আমরা সব সমস্যার সমাধান করেছি।’

আজ শুক্রবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশ ভবনে’র উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

নরেন্দ্র মোদি ও মমতা বন্দোপাধ্যায়সহ দুই বাংলার সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনের সুযোগ পেয়ে আনন্দিত। কবিগুরুর হাতে গড়া শান্তি নিকেতন। তিনি আমাদেরও। দুই দেশের জাতীয় সংগীত তিনি লিখেছেন। তার বেশিরভাগ কবিতাই বাংলাদেশে বসে লেখা। তাই আমাদের অধিকার বেশি।’

অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দুই প্রতিবেশী দেশ এক হয়ে চলতে চাই। প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সমস্যা থাকতে পারে। কিন্তু একে একে আমরা সব সমস্যার সমাধান করেছি। এখনও কিছু কথা আছে। কিন্তু সে কথা এখন বলে এখানকার পরিবেশ নষ্ট করতে চাই না। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, যে কোনো সমস্যা বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারব।

প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আমরা আশ্রয় দিয়েছি। নির্যাতিত মানুষকে আশ্রয় না দিয়ে পারেনি বাংলাদেশ। প্রয়োজনে নিজেদের খাবার ভাগ করে খাওয়াব। আমরা চাই দ্রুত তারা দেশে ফিরে যাক। বাংলাদেশ ভবনে নির্মিত হয়েছে আধুনিক থিয়েটার, প্রদর্শনী কক্ষ ও বিশাল লাইব্রেরি।

এ ভবনের ৪৫০ আসনের প্রেক্ষাগৃহটি বিশ্বভারতীতে থাকা প্রেক্ষাগৃহগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়। আর এর লাইব্রেরিতে রয়েছে সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাস এবং বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক সম্পর্কিত গ্রন্থ। এ ছাড়া ভবনের প্রবেশদ্বারের দুই প্রান্তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মুর‌্যাল স্থাপন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাংলাদেশ ও ভারতের দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের কথা রয়েছে। বিকালে শেখ হাসিনা কলকাতা ফিরে এসে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শন করবেন। সন্ধ্যায় হোটেল তাজ বেঙ্গলে কলকাতা চেম্বার নেতারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দুদিনের সরকারি সফরে ভারতে যান।

 

আগামীকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রী আসানসোলে যাবেন। সেখানে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ সমাবর্তনে শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রি প্রদান করা হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দেবেন। পরে মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে স্বর্ণপদক তুলে দেবেন।

আসানসোল থেকে কলকতা ফিরে শনিবার বিকালে নেতাজি জাদুঘর পরিদর্শন করে রাতেই ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ

প্রকাশ :মে ২৫, ২০১৮ ৫:০২ অপরাহ্ণ