২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ১:০০

ভারত সীমান্তবর্তী বিমানঘাঁটিগুলোর উন্নয়ন করছে চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ভারত সীমান্তের কাছাকাছি থাকা বিমানঘাঁটিগুলো দ্রুত উন্নত করছে চীন। এর ফলে ঘাঁটিগুলো থেকে টেকসই সামরিক অপারেশন পরিচালনার পাশাপাশি এগুলো ফাইটার জেট ও গ্রাউন্ড ইকুইপমেন্টের মতো সম্পদ শত্রুর বিমান হামলা থেকে সুরক্ষিত রাখবে।

জম্মু-কাশ্মিরের ঠিক উত্তরে শিনজিয়াংয়ের হোতান এয়ারফিল্ড এবং তিব্বতের লাসা ও হেপিং-শিগাতসি বিমানঘাঁটিগুলো কিভাবে দ্রুত উন্নত করা হচ্ছে সে বিষয়ে ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো সরকারকে অবহিত করেছে। ভারত-চীন-ভুটান ত্রি-সংযোগ বা দোকলাম এলাকা থেকে ২২০ কিলোমিটার উত্তরে হেপিং-শিগাতসিতে গত বছর দ্বিতীয় রানওয়ে তৈরি করা হয়।

হোতানে বিমান রাখার জন্য কংক্রিটের বেশ কয়েকটি বড় আকারের হ্যাঙ্গার নির্মাণ করা হয়েছে। হেপিং-শিগাতসিতেও স্থায়ী হ্যাঙ্গার নির্মাণ করা হয়েছে। আকাশপথে সিকিম থেকে ৩৩০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত লাসায় পর্বতের মধ্যে একটি হ্যাঙ্গার নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের পথে এবং একই সঙ্গে একটি টেক্সিওয়ের কাজ শেষ হয়েছে বলে ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে।

লাসায় সামরিক তৎপরতা জোরদারের বিষয়টি চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি প্রথম প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক-ট্যাংক স্টার্টফর। ওই ঘাঁটির স্যাটেলাইট চিত্রও প্রকাশ করা হয়। হুতন ছাড়াও শিনজিয়াংয়ের কাশগড়ে চীনের আরেকটি বিমান ঘাঁটি রয়েছে। অন্যদিকে তিব্বতে সব মিলিয়ে এক ডজনের মতো বিমানঘাঁটি রয়েছে রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে লাদাখের ২০০ কিলোমিটার পূর্বে নাগারিগুনসা ও অরুনাচল প্রদেশের ১০০ কিলোমিটার উত্তরে নাইংচি।

এর জবাবে অরুণাচল প্রদেশ, লাদাখসহ আরো কিছু স্থানে ভারতও কয়েকটি এডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড (এএলজি) তৈরি করছে।

 

প্রকাশ :মে ২৪, ২০১৮ ১২:১৭ অপরাহ্ণ