আতিকুর রহমান, গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ডুয়েট) আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রপের সংঘর্ষের ঘটনায় ২২ মে মঙ্গলবার রাত থেকে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
এ সময় ছেলেদের ২২ মে মঙ্গলবার রাতে এবং মেয়েদের ২৩ মে বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই নির্ধারিত সময়ের আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ঈদ ও রমজানের ছুটি ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন ধরে ছাত্রলীগের নবঘোষিত কমিটির সভাপতি তায়েবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক বিনয় ব্যানার্জী সমর্থিত দুগ্রপের কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। সোমবার সভাপতি সমর্থিত কয়েক জন কর্মী বিশ্ববিদ্যালয় গেইট এলাকার দুই ফটোকপি ব্যবসায়ীকে ক্যাম্পাসে ধরে নিয়ে চাঁদা দাবি করে। খবর পেয়ে সাধারণ সম্পাদক সমর্থিত কয়েক কর্মী ঘটনাস্থলে গিয়ে আটকদের ছেড়ে দেয়ার দাবি জানায়। এ নিয়ে দুগ্রপের মাঝে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের হামলায় সাধারণ সম্পাদক সমর্থিত কর্মী ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সাদ্দাম হোসেন ও ওয়াফিক হোসেন এবং একই বর্ষের মেকানিক্যাল বিভাগের ছাত্র মিজানুর রহমান মিঠুন আহত হন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ নিয়ে মঙ্গলবার রাতে আবার ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি তায়েবুর রহমানের সমর্থিতরা কাজী নজরুল ইসলাম আবাসিক হলের পুরাতন ভবনে এবং সাধারণ সম্পাদক বিনয় ব্যানার্জী সমর্থিতরা একই হলের এক্সটেনশন ভবনে অবস্থান নিয়ে মহড়া দিতে থাকে। এ সময় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কয়েক শিক্ষার্থীকে আটক করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ডঃ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, ছাত্রদের দুপক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর প্রেক্ষিতে নির্ধারিত সময়ের কয়েকদিন আগেই রমজান ও ঈদ উপলক্ষে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়।
জয়দেবপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, আবাসিক হলগুলো থেকে শিক্ষার্থীরা চলে যাওয়ার পর ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ভিসির সহযোগিতায় মুচলেকায় আটকদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ওই ব্যাপারে কোনো মামলা হয়নি।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ