বুধবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১১টা ৫০ মিনিট। টেকনাফের বালুখালীতে ইউনিসেফ পরিচালিত শিশুবান্ধব কেন্দ্রে শিশুদের সঙ্গে যোগ দেন প্রিয়াঙ্কা। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান তিনি। এসময় শিশুদের ১ থেকে ১০ পর্যন্ত ইংরেজিতে গণনা শেখান। কথা বলেন রোহিঙ্গা নারীদের সঙ্গে। রোহিঙ্গা নারীরা এসময় রাখাইনে তাদের ওপর সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত নির্যাতনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরেন।
এর আগে ওই স্কুলে পৌঁছুতেই তাতে ফুল দিয়ে বরণ করে রোহিঙ্গা ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। এর পর চলে আসার সময় শিক্ষার্থীরা হাতে তৈরি বাঁশের ঝুড়ি উপহার দেয় প্রিয়াঙ্কাকে। যা পেয়ে নায়িকা খুবই আবেগাপ্লুত হন।
সকাল সাড়ে ৯টায় ইউনিসেফের স্থানীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে পালংখালীর জামতলি অস্থায়ী আশ্রয়শিবিরে যান প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সেখানে গাড়ি থেকে নেমে কাঁদা-মাটির অনেকটা পথ হেঁটে আশ্রয়শিবিরে যান তিনি। রোহিঙ্গাদের সার্বিক খোঁজখবর নেন। তাদের কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে এই বলিউড অভিনেত্রী টেকনাফের হাড়িয়াখালীর ভাঙ্গার এলাকায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানেও তাকে পেয়ে রোহিঙ্গা নারীরা নিজেদের কথাগুলো বলতে শুরু করেন। তখনও আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এদিকে তার উপস্থিতি ঘিরে কড়া নিরাপত্তা দেয়া হয়। কিন্তু একটা পর্যায়ে অভিনেত্রী তাতে বিরক্তি বোধ করেন। প্রিয়াঙ্গা চোপড়া বলেন, ‘প্লিজ, আমার জন্য এত নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই। সামনে-পেছনে এত গাড়ি থাকতে হবে না। একটা গাড়ি থাকলেই চলবে।’
গত তিন দিনে প্রায় প্রতিটি ক্যাম্পেই বিশেষত শিশুদের সঙ্গে দারুণ সময় কাটান নায়িকা। হিন্দিতে দু-চারবার কথা বলারও চেষ্টা করেন শিশুদের সঙ্গে। এবং প্রত্যেকবারই ক্যাম্পগুলো থেকে বিদায় নেয়ার আগে শিশুদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়িয়ে বলেন, খোদা হাফেজ’, ‘আবার দেখা হবে’।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ