নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী বাজেটে এমপিওভুক্তির বিষয়টি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যাওয়ায় আবারও রাজপথে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন। বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, দীর্ঘ ৮ বছর পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্তির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা ১৫-২০ বছর বিনা বেতনে চাকরি করছেন। অনেকের আবার চাকরি আছে ৫-১০ বছর। এ কারণে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আর অপেক্ষায় না রেখে চলতি সরকারের মেয়াদে এই সমস্যার সমাধান আমরা প্রত্যাশা করি।
তিনি আরও বলেন, আগামী বাজেটে এমপিওভুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ না থাকলে রোজার ভেতরেই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান করবো। এই লক্ষে আমাদের কর্মসূচি হলো ২৮ মে ঢাকার কর্মসূচি সফল করতে জেলায় জেলায় প্রস্তুতি সভা এবং ১০ জুন থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ড. বিনয় ভূষণ রায় বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে গত জানুয়ারি মাসে আমাদের আমরণ অনশন কর্মসূচি স্থগিত করে ক্লাসরুমে ফিরে যান এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলনতরত শিক্ষকরা। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দৃশ্যমান কোনও প্রক্রিয়া আমাদের নজরে আসেনি। ২০১০ সালের মে মাসে এমপিওভুক্তির আবেদন চাওয়া হয়েছিল। এবছর এখনও কোনও আবেদন চাওয়া হয়নি। আসন্ন বাজেটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি খাতে কোনও বরাদ্দ থাকছে কিনা তাও আমরা জানতে পারিনি। বাজেটে অর্থ বরাদ্দ না থাকলে এমপিওভুক্তির বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, এমপিওভুক্তির দাবিতে দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করে আসছেন নন-এমপিও শিক্ষকরা। আমরণ অনশন, অবস্থান ধর্মঘট, শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর বিভিন্ন সময়ে তারা স্মারকলিপি দিয়েছেন এই একই দাবিতে। তারপরও (২০১৬-১৭) এবং (২০১৭-১৮) অর্থবছরের বাজেটে নন-এমপিও শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি অথবা বাড়তি ভাতার ব্যবস্থা করতে কোনও বরাদ্দই রাখেননি অর্থমন্ত্রী। তাই আবার রাজপথে নেমেছিলেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে তারা আবার অবস্থান নিয়েছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। ৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তার একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান অনশনস্থলে এসে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের কথা জানালে শিক্ষকরা অনশন ভেঙে রাজপথ ছেড়ে বাড়ি ফিরে যান।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর