ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিরোধী দল বিএনপিকে নির্মূল করার জন্য অন্যায়ভাবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মাদকবিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা চাই অরাজনৈতিকভাবে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালিত হোক। যেন কাউকে অন্যায়ভাবে ক্রসফায়ার না দেয়া হয়।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঠাকুরগাঁও শহরে বিএনপির মহাসচিবের নিজ বাসভবনে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
ঠাকুরগাঁওয়ে একজন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে- এমন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে উত্তরে তিনি বলেন, অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা দেখেছেন অল্প কিছু দিনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ২০ জনকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়েছে। কিছুদিন আগে গাজীপুরে এক কিশোরকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া কোনো অভিযোগ না থাকলেও গত পরশুদিন নেত্রকোনায় ছাত্রদলের সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গাজীপুর নির্বাচন বিষয়টি পুরোটাই একটা গোলকধাঁধার মধ্যে ফেলা হয়েছে। নির্বাচনের বিধিমালা মানা হয়নি। কেন্দ্র দখলসহ সব ধরণের অনিয়ম করা হয়েছে। এটা ছিল প্রহসনের নির্বাচন। হাইকোর্ট থেকে স্থগিত আদেশ দেয়া মাত্রই বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীর নামে মামলা দেয়া হয় এবং প্রার্থীর বাড়ি ঘেরাও করে রাখা হয়। আওয়ামী লীগ নেতারা নির্বাচনের আইন মানছেন না। তারা প্রচার-প্রচারণা শুরু করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, কেয়ারটেকার সরকার গঠনের ফলে যে নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল তা ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মহাসচিব বলেন, জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিতে চায় কিন্তু তার আগে সুষ্ঠু পরিবেশ দিতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয়। আমরা বলছি এই পার্লামেন্টকে ভেঙ্গে দিতে হবে, সেনা মোতায়েন করতে হবে। সবার আগে যে বিষয়টি সেটি হলো, বিরোধীদলীয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। হাইকোর্টে তারিখ বদল করে তাকে বন্দি রাখা হচ্ছে। এই সরকার নিজের উপর আস্থাহীন-গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এ সময় জেলা বিএনপি, শ্রমিকদল, ছাত্রদল এবং জেলা যুবদলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ