নিজস্ব প্রতিবেদক:
মাত্রাতিরিক্ত লাভ’ ‘জীবাণুযুক্ত’ পানি দিয়ে খাবার প্রস্তুত আর পোড়া তেলে খাবার ভাজার অপরাধে প্রসিদ্ধ খাদ্য বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান কেএফসির ধানমন্ডি শাখাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এই রায় ঘোষণা করেন।
অভিযানে ৩১ টাকায় কেনা মুরগির টুকরো সেটি ১৩৯ টাকায় ভোক্তাদের কাছে বিক্রির তথ্য পাওয়া গেছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটি তার নানা খরচের কথা উল্লেখ করেছে, তারপরও ৩৫০ শতাংশেরও বেশি মুনাফা করাকে যৌক্তিক মনে করেননি ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক।
কেএফসিকে জরিমানা করার আরেক কারণ পুরনো তেলে মুরগি ও ফ্রেঞ্চফ্রাই ভাজা। রেস্টুরেন্টটিতে বিশুদ্ধ পানির লাইনও নষ্ট ছিল।
অভিযান শেষে সারওয়ার আলম বলেন, ‘কেএফসির যত আইটেম তেল দিয়ে ভাজা হয় সবই পুরাতন তেল। তারা কখনও পুরাতন তেল পরিবর্তন করে না। এছাড়া কিচেনের কাজে ব্যবহৃত পানি বিশুদ্ধ ছিল না। তাদের পানি বিশুদ্ধ মেশিন কাজ করে না। জীবানুযুক্ত পানি ব্যবহার করেই সব কাজ করা হতো।’
‘কেএফসির ইনভয়েজে দেখা যায়, যে চিকেন ৩১ টাকায় কেনা সেটা ১৩৯ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এসব অভিযোগ আমলে নিয়েই তাদের এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
এসব অনিয়মের বিষয়ে সাংবাদিকদের জেরার মুখে পড়েন কেএফসির ধানমন্ডি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুদিপ কুমার মণ্ডলও। তার দাবি, পানি বিশুদ্ধ মেশিনটা হঠাৎই কাজ করছে না। সকালেও সেটি ভালো ছিল। এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ইলেক্ট্রনিকস পণ্যে সমস্যা হতেই পারে।’
পুরনো তেল ফেলে দেয়ার নিয়ম থাকলে তাতে আবার খাবার ভাজার বিষয়েও নিজের মতো করে যুক্তি দেন কেএফসি কর্মকর্তা। বলেন, ‘তেল দিয়ে সব কিছু ভাজার পর ফেলে দেওয়া না হলেও সেটা প্রতিনিয়ত একটি স্টিক দিয়ে পরীক্ষা করা হয়।’
মাত্রাতিরিক্ত দাম নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে সুদিপ বলেন, ‘শো রুম চালাতে অনেক টাকা খরচ হয়। তাই একটু বেশি।’
এসব যুক্তি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে বলার সুযোগে পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে মুচকি হেসে কথা থামিয়ে দেন কেএফসি কর্মকর্তা।
দৈনিক দেশজনতা /এন এইচ