স্পোর্টস ডেস্ক:
পরামর্শক হয়ে বাংলাদেশে এসেছেন গ্যারি কারস্টেন। কথা বলছেন ক্রিকেটার থেকে শুরু করে স্থানীয় কোচ, নির্বাচকদের সঙ্গেও। গতকাল তিনি সফর শেষে চলে যাওয়ার আগে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসানের সঙ্গে। এই সভার পরই আশা ছিল হয়তো জানা যাবে কে হচ্ছেন টাইগারদের প্রধান কোচ? কিন্তু সেই উত্তর জানা গেলনা বিসিবি’র সভাপতি মুখ থেকে। তবে আশার কথা শুনিয়েছেন তিনি। ১৫ই জুনের মধ্যেই জাতীয় দলের সব কোচ নিয়ে নিয়োগ দেয়া হবে।
কিন্তু এবার একজন নয় কোচ নিয়োগ হবে আরো বেশি। পরামর্শক কারস্টেনের মতামত নিয়ে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির জন্য ভিন্ন ভিন্ন কোচের কথাই এখন ভাবছে বিসিবি। তবে নতুন এ ভাবনাতে থাকবেন একজন প্রধান কোচ। তার সঙ্গে সাদা ও লাল বলের জন্য থাকবেন ভিন্ন ভিন্ন বিশেষজ্ঞ কোচ। যারা মূলত দেখবেন দলের ব্যাটিংটাই।
বিসিবি সভাপতির মতে হতে পারে তিন ফরমেটে তিন কোচ কিংবা একজন প্রধানের অধীনে থাকবেন তিনজন। তিনি বলেন, ‘আসলে টেস্টর জন্য অনেকেই কোচ হতে চান না। বেশির ভাগেরই ইচ্ছা ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি নিয়ে কাজ করা। আমাদের পরামর্শক গ্যারি কারস্টেনও জানিয়েছেন লাল ও সাদা বলে কোচের ভাবনার কথা। আমরাও সেটি ভাবছি। তবে আমরা চাইছি একজন প্রধান কোচ থাকবেন। তার অধীনে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির ভিন্ন ভিন্ন বিশেষজ্ঞ কোন থাকবেন।’
অন্যদিকে গ্যারি কারস্টেন এরই মধ্যে জানিয়ে দিছেন তিনি বাংলাদেশ দলের কোচ এমনকি কোচিং ডিরেক্টর পদে কাজ করবেন না। তিনি শুধু মাত্র কোচ নিয়ে প্রক্রিয়াতেই থাকবেন। বিসিবি’র সঙ্গে তার কাজ নিয়ে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আমরা আসলে তাকে কোচ হিসেবে চেয়েছিলাম। কিন্তু সে সময় দিতে পারবে না।
এছাড়াও চেয়েছিলাম তাকে কোচিং ডিরেক্টর হিসেবে। কিন্তু সে প্রস্তাবেও তিনি রাজি নন। তাই আপাততো তিনি আমাদের কোচ নিয়োগ পর্যন্তই কাজ করবেন। তার সঙ্গে এ কাজ আসলে আরো অগেই শুরু হয়েছে। আমরা তাকে একটি কোচের তালিকা দিয়েছি। তিনিও আমাদের একটি তালিকা দিয়েছেন। তবে তার আগে গ্যারি চেয়েছেন যে এদেশে এসে সবার সঙ্গে কথা বলে নিতে। বলতে গেলে তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট ও আমরা কি ধরনের কোচ চাই তা নিয়ে কথা বলেছেন।
ক্রিকেটার, নির্বাচক, স্থানীয় কোচ ও বোর্ডের পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলে তিনি একটি ধারণা নিয়েছেন। শুধু জাতীয় দলই নয় তিনি ‘এ’ দল, এইচপি, অনূর্ধ্ব-১৯, আমাদের এজ লেভেল সব ধরনের ক্রিকেট নিয়ে কথা বলেছেন। এখন তিনি ফিরে যাবেন। এরপর তিনি আমাদের কোচ নিয়ে পরামর্শ দিবেন সেইভাবে আমরা কোচ নিয়োগ দেবো। বিশেষ করে আমরা টেস্টের কোচ আলাদা করতে চাই। কারণ এখন অধুনিক ক্রিকেট যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বড় একটি জায়গা দখল করে নিয়েছে।’
অন্যদিকে কোন চিন্তা থেকে তিন ফরমেটে ভিন্ন ভিন্ন কোচ নিয়োগের কথা ভাবছে বিসিবি! আর সেটি হলে সেই কোচরা কি ধরনের দায়িত্ব পালন করবেন? এ বিষয়ে নিয়ে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আমরা আসলে টেস্টের ব্যাটিং নিয়ে বেশি ভেবেছি। কারণ আমাদের প্রথম তিনজন যে কি করবে তা বলতে পারি না। কারণ তামিমের সঙ্গে সৌম্য বলেন, ইমরুল, লিটন সবাই বেশি শট খেলতে চায়। শুধু মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহরা আসলে একটু স্থির থাকে। যে কারণে আমরা লাল ও সাদা বলে বিশেষজ্ঞ ব্যাটিং কোচই নিয়োগ দেবো।’
কবে নাগাদ বাংলাদেশ দল কোচ পেতে পারে তা নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমরা আশা করছি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগেই বাংলাদেশের সব কোচ নিয়োগ হয়ে যাবে। ‘এ’ দল বা এইচপি’র কথা পরে চিন্তা করবো আগে জাতীয় দলের ফুল কোচিং স্টাফ আমরা ১৫ই জুনের আগেই নিয়োগ দিতে চাই। গ্যারি এখন চলে যাবেন প্রয়োজন হলে আবারো আসবেন। তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলে একটি ধারণা নিয়েছেন এখন নিজের মতামত মিলিয়ে একটি প্রস্তাব দিবেন। সেই অনুসারে আমরা সব নিয়োগ সম্পন্ন করবো।’
এছাড়াও প্রশ্ন উঠেছে যদি নতুন কোচিং স্টাফ আসে তাহলে কোর্টনি ওয়ালশ ও চাম্পাকা ও মারিওদের কি হবে? এ বিষয়ে নাজমুল হাসান বলেন, ‘আমরাতো ব্যাটিং কোচ নিয়োগ করবো। এছাড়াও কোর্টনি, চাম্পকা, মারিওর কাজ নিয়ে আমরা ভীষণ খুশি। তারা তাদের জায়গাতেই থাকবেন।’
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি