স্বাস্থ্য ডেস্ক:
নিপা ভাইরাস একটি মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগ। এ রোগে আক্রান্তদের শতকরা ৮০ জনেরই মৃত্যু হয়।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু’-এর রিপোর্ট অনুসারে নিপা বা নিভ প্রধানত বাদুর জাতীয় পশুর থেকেই ছড়ায়।
নিপা অপেক্ষাকৃত নতুন ভাইরাস যা অতি সহজেই বাদুর জাতীয় তৃণভোজী প্রাণীর থেকে মানুষের দেহে প্রবেশ করে। শুধুমাত্র বাদুর নয়, নিপা শূকরের বর্জ থেকেও ছড়ায়।
১৯৯৮ সালে মালয়েশিয়ার নিপাতে প্রথম এই ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেয়। সেখানে বাড়ির পোষ্য কুকুর, বেড়াল, ঘোড়া, ছাগলের দেহে এই ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। ওই অঞ্চলে প্রতিটি বাড়িতেই শূকর প্রতিপালন হয়। গবেষণার পর দেখা যায়, ওই শূকরদের থেকেই নিপার প্রভাব ছড়িয়েছে পোষ্যদের দেহে। এরপর পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
২০০৪ সালে নিপা ভাইরাস থাবা বসায় বাংলাদেশে। সেখানে ৩৩জনের মৃত্যু হয় এর প্রভাবে। হু’-এর রিপোর্ট অনুসারে, এখনও পর্যন্ত নিপার প্রভাবে ৪৭৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৫২ জনের।
নিপা ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ কী?
চিকিত্সকদের মতে, নিপা ভাইসারের আক্রমণে মৃত্যুর আশঙ্কা শতকরা ৭০ শতাংশ। সাধারণভাবে প্রথমে জ্বর এবং মাথা যন্ত্রণা ও ঝিমুনিই এই রোগের লক্ষণ। পরবর্তী পর্যায়ে জ্বর বাড়ে ও সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেন রোগী। এরপর ধীরে ধীরে কোমাতে চলে যায় সে। আর এরপর মৃত্যু অনিবার্য।
এখনও পর্যন্ত এই রোগের চিকিৎসা বা প্রতিশেধক বাজারে আসেনি। ফলে, এর প্রকোপ সেভাবে আটকানো সম্ভব হয় না। তবে, এই নিয়ে বিস্তর গবেষণা শুরু হয়েছে বিশ্বজুড়ে।
দৈনিক দেশজন /এন এইচ
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

