আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরে কিশানগঙ্গা পানিবিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন নিয়ে উদ্বেগ জানাতে বিশ্বব্যাংকে যাচ্ছে পাকিস্তান। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ১৯৬০ সালে দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত সিন্ধু পানি চুক্তির লঙ্ঘন বলে জানিয়ে আসছে পাক প্রশাসন।
রবিবার এ ব্যাপারে পাকিস্তানের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল ওয়াশিংটনে পৌঁছেছে। সোমবার থেকে তিনদিন ধরে বিশ্বব্যাংক কমকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তারা। এ সময় চারটি বিষয় তুলে ধরা হবে: কিশানগঙ্গা বাধের উচ্চতা, এর পানি ধরে রাখার ক্ষমতা, এ বিষয়ে বিবাদ নিরসনে একটি সমঝোত আদালত স্থাপনে পাকিস্তানের দাবি এবং আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ চেয়ে ভারতের দাবি।
এর আগে পাকিস্তানের আপত্তি সত্ত্বেও শনিবার ওই বাধ উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওয়াশিংটনে পাকিস্তানের দূত আইজাজ আহমেদ চৌধুরী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘একটি কৃষিপ্রধান দেশ হওয়ায় পানি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় এবং পানিই আমাদের জীবনীশক্তি।’ তিনি আরো বলেন, ‘ভাটির দেশ হওয়ায় উজানের দেশ থেকে আসা পানির আমাদের নির্বিঘ্ন অধিকার আছে।’
ইসলামাবাদের ভাষ্যমতে, ওই বাধ সিন্ধু পানি চুক্তির লঙ্ঘন। এতে ভারত থেকে পাকিস্তানে পানি প্রবাহে ব্যাঘাত ঘটবে। সিন্ধু পানি চুক্তিতে সিন্ধু উপত্যকায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ছয়টি নদীতে বাধ নির্মাণের সর্বোচ্চ উচ্চতা ও ধারণক্ষমতা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। পাকিস্তানের মতে, ওই বাধ নির্ধারিত উচ্চতার চেয়েও বেশি উঁচু এবং নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে বেশি পানি ধারণ করে রাখবে। ভারত অবশ্য বলছে, বিষয় দুটি পাকিস্তানের সঙ্গে আগেই বোঝাপড়া করা হয়েছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি