বি-বাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ফেসবুকে কুৎসা রটানোর অভিযোগে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করার পর রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেছে পুলিশ।লিটন কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
ওই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে ফেসবুকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও তার ব্যক্তিগত সহকারী রাশেদুল কায়ছার ভূইয়ার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ আছে।
এই অভিযোগে গত এপ্রিলে কসবা থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে বেশ কয়েকটি মামলা হয়। আর এসব মামলায় বুধবার কুমিল্লা শহর থেকে আটক করা হয় আওয়ামী লীগ নেতা মোখলেছুর রহমান লিটনকে। পরে নিয়ে আসা হয় কসবায়।
বৃহস্পতিবার লিটনকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে। রবিবার এই আবেদনের ওপর শুনানির কথা আছে।
কসবা আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্বাচনী এলাকা। তিনি এরই মধ্যে আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জনসংযোগ শুরু করেছেন।
মামলার বাদী ও কুটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইদুর রহমান স্বপন জানিয়েছেন, এপ্রিল মাসের শেষ দিকে তিনি মামলা করেছিলেন।
মামলায় লিটন ছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহ আলম ও কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা শ্যামল কুমার রায়কেও আসামি করা হয়।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, গত ২৫ এপ্রিল কসবা থানায় করা ৫৭ ধারার মামলায় লিটনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গত কয়েক মাস ধরেই ‘জয় হাসান’ ও ‘সৈয়দ মহসিন’ ‘ক্রসফায়ার’, ‘জাগ্রত জনতা’সহ বেশ কয়েকটি আইডি থেকে আইনমন্ত্রী ও তার ব্যক্তিগত সহকারীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ আছে।
কসবা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবদুল করিম সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছিলেন, মামলাগুলোর বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে অনুমোদন দেওয়ার পর তাঁরা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ