নিজস্ব প্রতিবেদক:
গতকাল প্রথম রমজান না হওয়ার কারনে ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত এসে গেছে। আজ শুক্রবার আমাদের দেশে প্রথম রমজান। সেই হিসেবে আজ সন্ধ্যায় হবে প্রথম ইফতার। তাই গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ইফতার সামগ্রী বিকিকিনির ধুম লক্ষ্য করা গেছে। বরাবরের মতো এসব পণ্যের দামও চড়া। স্বাভাবিক সময়ের বাজারের চেয়ে রমজান ঘিরে ক্ষেত্র বিশেষে ইফতার সামগ্রীর দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত প্রতি রমজানে ইফতারীর পন্যর দাম বৃদ্ধি পেয়ে আসছে।
তবে বিক্রেতাদের দাবি, অন্যবারের তুলনায় এবার ইফতার সামগ্রীর বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।
ইফতারির নিত্য অনুসঙ্গ খেজুর, ছোলা ও মুড়ি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর কাওরানবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ক্রেতাই ইফতার সামগ্রী কিনছেন।
মো. মান্নান হোসেন দৈনিক দেশ জনতকে বলেন, ‘খেজুর বিভিন্ন ক্যাটাগরির আছে। সর্বনিম্ন ২০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত কেজি রয়েছে। তবে মানুষ ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা দরের খেজুরই বেশি কিনছেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, দাম বাড়েনি। যা একটু বেশি নেয়া হচ্ছে, রমজানে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। মানুষও খুশি হয়ে দিচ্ছেন।’
খেজুর কিনে ফেরার সময় মো. নুর হোসেন দৈনিক দেশ জনতকে বলেন, ‘আমি এককেজি খেজুর কিনেছি ৩৫০ টাকা দিয়ে। দাম বেড়েছে কিনা, কীভাবে বলব? গত রমজানের পর এই প্রথম খেজুর কিনলাম, বুঝতেই পারছেন,। তবে একটু বেশি বেশি মনে হলো।’
অবশ্য পশ্চিম পান্থপথের ফল বিক্রেতা মো. মানিক হোসেন দৈনিক দেশ জনতকে বলেন, ‘গতমাসে যে খেজুর ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা ছিল, এখন সেগুলো ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। কেজিপ্রতি সব ধরনের খেজুরে ২০ থেকে ৫০ পর্যন্ত বেড়েছে।’
ছোলার দাম জানতে চাইলে জামির হাসান নামে কাওরানবাজারের এক বিক্রেতা দৈনিক দেশ জনতকে বলেন, ‘ছোলা কেজিপ্রতি ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি করছি। দাম বাড়েনি। তিনি অবশ্য উল্টো দাবি করেন, গতমাসেও ৯০ টাকা কেজি ছোলা বিক্রি হয়েছে।
’মগবাজারের 271/ এ এর বাসিন্দা মো. নুর হোসেন বাপ্পি ইফতারের পন্য সামগী কিনে আসছিলেন তার কাছে জানাতে চাইলে দৈনিক দেশ জনতকে জানান গতবারের তুলনায় অনেকাটা বেশী দাম নিচ্ছে ।
আব্দুস সালাম নামের এক ক্রেতা দৈনিক দেশ জনতকে বলেন, ‘ছোলা ও খেজুর কিনলাম। রমজান আসলে যেভাবে দাম বাড়ে, সে হিসেবে এবার খুব আস্বাভাবিক মনে হচ্ছে না। তবে বাকি দিনগুলোতে কি হয়, সেটাই দেখার বিষয়।’
কারওয়ানবাজারে খোলা মুড়ির চাহিদাও বেশ লক্ষ্য করা গেছে। মোছা. সুমি আক্তার ছোট মেয়েকে নিয়ে মুড়ি কিনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তার কাছে জানতে চাইলে বলেন, ‘ইফতারিতে মুড়ি দরকার। তাই ৫ কেজি মুড়ি কিনলাম ৬৫ টাকা করে কেজি। গত মাসে কিনেছিলাম ৫৫ টাকা করে। দাম তো একটু বেশিই মনে হলো।’
কারওয়ানবাজারের মুড়ি বিক্রেতা কালু মিয়া বলেন, ‘মুড়ির দাম বাড়েনি। গত মাসে খোলা মুড়ি ছিল ৬৫ টাকা, এখন ৭০ টাকা করে বিক্রি করছি।’
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ