নিজস্ব প্রতিবেদক:
দশম জতীয় সংসদের চতুর্দশ থেকে অষ্টাদশ অধিবেশন (জানুয়ারি-ডিসেম্বর ২০১৭) কোরাম সংকটের কারণে প্রায় সাড়ে ৩৭ কোটি টাকা অপচয় হয়েছে বলে দাবি করেছে ট্রন্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, চতুর্দশ থেকে অষ্টাদশ অধিবেশন তথা পাঁচটি অধিবেশনে প্রতিটি কার্যদিবসে কোরাম সংকট লক্ষণীয় ছিল। ৭৬টি কার্যদিবসের ১৩ শতাংশ কোরাম সংকট ছিল। প্রতি কার্যদিবসে গড় কোরাম সংকট ছিল ৩০ মিনিট করে অপচয় হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংসদের বাজেটের ভিত্তিতে সংসদ পরিচালনার ব্যয়ের প্রক্কালিত হিসাব অনুযায়ী সংসদ পরিচালনার করতে প্রতি মিনিটে গড়ে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৮৬ টাকা খরচ হয়। এ হিসাবে প্রতি কার্যদিবসে গড় কোরাম সংকটের অর্থমূল্য ৪৯ লাখ ১০ হাজার ৫৮০ টাকা এবং চতুর্দশ থেকে অষ্টাদশ পর্যন্ত ৫টি অধিবেশনে মোট কোরাম সংকট ছিল ৩৮ ঘন্টা ৩ মিনিট। যে কারণে সরকারের ৩৭ কোটি ৩৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা অপচয় হয়েছে।’
গবেষণায় আরো বলা হয়েছে, দশম জাতীয় সংসদের এখন পর্যন্ত মোট ১৫২ ঘন্টা ১৭ মিনিট, যা প্রকৃত সময়ের ১২ শতাংশ। ফলে সরকারের কোরাম সংকটের কারণে ১২৫ কোটি ২০ লাখ ৬৯ হাজার ৪৪৫ টাকা অপচয় হয়েছে।
এ ব্যাপারে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘জাতীয় সংসদে বরাবরের ন্যায় এবারও কোরাম সংকট অব্যাহত ছিল। এটা অত্যন্ত উদ্বোগের বিষয়।’
‘পার্লামেন্টওয়াচ দশম জাতীয় সংসদ চতুর্দশ থেকে অষ্টাদশ অধিবেশন (জানুয়ারি – ডিসেম্বর ২০১৭)’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনটিতে সংসদকে অধিকতর কার্যকর করার জন্য বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে, সংসদে অধিকতর শৃঙ্খলা রক্ষাসহ অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার বন্ধে বিধি অনুযায়ী স্পিকারকে আরো জোরালো ভূমিকা নিতে হবে, আন্তর্জাতিক
চুক্তিসমূহ সদস্যদের আলোচনার জন্য রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সংসদে উত্থাপন করতে হবে, বিধি অনুযায়ী কমিটির নিয়মিত সভা অনুষ্ঠান করতে হবে, সংরক্ষিত আসনসহ সকল নির্বাচিত সদস্যদের হলফনামা নিয়মিত প্রকাশ ও হালনাগাদ করতে হবে, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে প্রকাশযোগ্য নয় এমন বিষয় ব্যতীত অন্যান্য আন্তর্জাতিক চুক্তি সংসদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা ইত্যাদি।
অনুষ্ঠানে টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সুলতানা কামালসহ প্রতিষ্ঠানটির অন্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ