স্বাস্থ্য ডেস্ক:
বাংলাদেশে ১৪ শতাংশ বয়স্ক লোক অসংক্রামক রোগ হাইপারটেনশনে আক্রান্ত। এ দেশে বড় ধরনের অসংক্রামক রোগগুলোর মধ্যে হাইপারটেনশন একটি। ”বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগ : বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ নিদেশনা” শিরোনামে প্রকাশিত সর্বশেষ বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ রিপোর্টে এ তথ্য জানা যায়।
রিপোর্টে বলা হয়, বাংলাদেশে ১৪ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক লোক হাইপারটেনশনে আক্রান্ত।
হাইপারটেনশন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা গ্রামের চেয়ে শহরে দ্বিগুনেরও বেশি।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, পল্লীতে যেখানে ১১ শতাংশ লোক এই রোগে আক্রান্ত, সেখানে শহরে ২৪ ভাগ লোকই আক্রান্ত।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা.আবুল কালাম আজাদ বলেন, হাইপারটেনশন ক্রমবর্ধমান একটি মেডিকেল ও জনস্বাস্থ্য সমস্যা।
বিশ্বে হাইপারটেনশন কারডিওভাসকুলার রোগ, স্ট্রোক, কিডনি রোগ, প্রতিবন্ধী এবং অপ্রাপ্ত বয়সে মৃত্যুর কারণ হচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপ নামে পরিচিত হাইপারটেনশন সাধারণত কোন রোগই মনে হয় না। এ রোগের তেমন কোন আলামত না দেখা যাওয়ায় সাধারণত কেউ সহসা ডাক্তারের কাছে যান না। ফলে এতে কিডনি ড্যামেজ, স্ট্রোক অথবা হার্ট আ্যটাকের কারণ হতে পারে।
বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের আহবায়ক ডা. মুস্তাক চৌধুরী নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন হাইপারটেনশন প্রতিরোধে এবং ভবিষ্যতে উচ্চ রক্তচাপ হ্রাসে সহায়ক হতে পারে। তিনি শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ, ব্যালেন্স ডায়েট, লবণ কম খাওয়া, নিয়মিত শরীর চর্চা, রক্তচাপ সার্বক্ষণিক মনিটর করার পরামর্শ দিয়েছেন।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) তথ্যমতে সারাবিশ্বে বছরে প্রায় ১৭ মিলিয়ন লোকের মৃত্যু হয় কার্ডিওভাসকুলার রোগে। উন্নয়নশীল দেশে হাইপারটেনশনে মারা যায় ৯.৪ মিলিয়ন লোক এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগে মৃতদের ৯০ শতাংশই উন্নয়নশীল দেশে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ