হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে আশ্রায়ণ কেন্দ্রে দরিদ্র পরিবারের এক শিশুকে জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে এক লম্পট। ওই শিশু একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। গুরুতর অবস্থায় তাকে সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক উজ্জ্বল মিয়া পলাতক রয়েছে।
জানা গেছে, শিশুটির পরিবার হত-দরিদ্র। চলতি বোরো মৌসুমে তারা হাওরে ধান কাটা শ্রমিকের কাজ করেন। প্রতিদিনের মতো গত ২ মে শিশুটিকে বাড়িতে একা রেখে বাবা-মা হাওরেযান। এ সুযোগে দুই সন্তানের জনক উজ্জ্বল মিয়া শিশুটির বাড়িতে গিয়ে চেতনানাশক মিশ্রিত জুস দেয়। শিশুটি জুস খেয়ে অচেতন হয়ে পড়লে তাকে ধর্ষণ করে উজ্জ্বল। পরদিনে ফের একই কায়দায় শিশুটিকে ঘরে একা পেয়ে সে ধর্ষণ করে। এতে শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন মা-বাবার কাছে সে বিষয়টি সম্পর্কে জানায়। এরই মাঝে বিষয়টি স্থানীয়রাও জেনে যান।
এদিকে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ৪ মে চুনারুঘাট পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজল মিয়া সালিশের উদ্যোগ নেন। তিনি ধর্ষিতা শিশুটির পরিবারকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে যা হয়েছে তা ভুলে যেতে বলেন।
এ ব্যাপারে সালিশকারী চুনারুঘাট পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজল মিয়া বলেন, ‘মেয়ের পরিবার দরিদ্র। মামলা দিয়ে তারা কোনও ফায়দা পাবে না বলেই ঘটনাটি সালিশে মিটমাট করি। উজ্জ্বল মিয়ার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা নিয়ে তা শিশুটির চিকিৎসার জন্য তার বাবা-মাকে দেয়া হয়েছে।’
চুনারুঘাট থানার ওসি কেএম আজমিরুজ্জামান জানান, ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। ভিকটিমের বাবা অভিযোগ করেছেন। আসামিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি