আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ওপর নজরদারি চালিয়েছে তারই আশ্রয়দাতা দেশ ইকুয়েডর। লন্ডনের ইকুযেডর দূতাবাসের কম্পিউটার ব্যবস্থা অ্যাসাঞ্জ হ্যাক করার পরই তার ওপর নজরদারি চালানো হয়। বুধবার দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গার্ডিয়ান জানিয়েছে, অ্যাসাঞ্জের দর্শনার্থী, দূতাবাসকর্মী এমনকি লণ্ডনের অভিজাত কিংসব্রিজ এলাকায় দূতাবাসের কাছে দায়িত্বরত লণ্ডন পুলিশের ওপর নজর রাখতে একটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা কোম্পানি ও ছদ্মবেশী গোয়েন্দাকে নিয়োগ দিয়েছিল ইকুয়ের। প্রথমে ‘অপরাশেন গেস্ট’ এবং পরে ‘অপারেশন হোটেল’ নাম দেওয়া এই কর্মকাণ্ডে ইকুয়েডর দূতাবাসকে ব্যয় করতে হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। প্রাথমিকভাবে এই নজরদারি প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ পুলিশের হাত থেকে তাকে রক্ষা করা। পরে তা উল্টে সম্পূর্ণ গোয়েন্দা অপারেশনে রূপ নেয়।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এই অভিযানের বিষয়টি ইকুয়েডরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রাফায়েল করেয়ার সমর্থণ ছিল। গত বছর শপথ নেওয়ার পর তা অব্যাহত রাখেন দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট লেনিন মরিনো। অ্যানাঞ্জের ওপর নজরদারি চালানো নিরাপত্তা দলটি তার প্রতিদিনের কর্মকাণ্ড নথিবদ্ধ করতো। এছাড়া তার সঙ্গে থাকা দূতাবাসের কর্মী, সেখানে আসা দর্শনার্থী, যাদের মধ্যে হ্যাকার, অধিকার কর্মী ও আইনজীবী রয়েছেন, তাদের ওপরও নজরদারি চলতো। এই দলটি দূতাবাসের কাছেই একটি ফ্ল্যাটে বাস করতো। এর জন্য দূতাবাসকে মাসে ২ হাজার ৮০০ পাউন্ড ভাড়া গুনতে হতো।
প্রসঙ্গত, পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আছেন অ্যাসাঞ্জ। গ্রেপ্তার এড়াতে ইকুয়েডরের রাজনৈতিক আশ্রয়ে সেখানে অবস্থান করছেন তিনি।