নিজস্ব প্রতিবেদক:
১২০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে ঢাকার মেসার্স মাসটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকালই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। মামলা নম্বর-১২/১৭০।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সৈয়দ আবিদুল ইসলাম ও পরিচালক খন্দকার সুরাত আলী। মামলায় এই দুইজন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, পরিচালক এম হক বাবু ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি গোয়েন্দা দল গত বছরের ২০ আগস্ট মধ্যরাতে চট্টগ্রাম থেকে একটি কাভার্ডভ্যানে (ঢাকা মেট্রো ট-১৪-২৮২৩) করে ঢাকায় পণ্য নিয়ে আসে। পুরান ঢাকার ইসলামপুরে পণ্য খালাস করার পূর্বমুহূর্তে গাড়ির চালকের কাছে পণ্যের স্বপক্ষে চালান দেখাতে বলা হলে তিনি পণ্যের স্বপক্ষে বিল অব এন্ট্রি, তানিয়া কার্গো সার্ভিসের ডেলিভারি চালান ও ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির চালান প্রদর্শন করেন।
মেসার্স মাসটেক্স ইন্ডাট্রিজ লি:, ৯১, ধউর, থানা রোড, তুরাগ, ঢাকা নামীয় প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল কেন ইসলামপুরে আনা হয়েছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে জানান, কাস্টম হাউস চট্টগ্রাম থেকে পণ্য বোঝাই করে গাড়িটি প্রথমে উল্লিখিত ঠিকানায় নেয়ার জন্য ভাড়া করা হয়। পরবর্তীতে ঢাকার কাছাকাছি আসার পরে ট্রাক বোঝাই কাপড় ইসলামপুর নিয়ে আসার জন্য বলা হলে তিনি ইসলামপুর নিয়ে আসেন।
আইএম-৭ এর মাধ্যমে শুল্কমুক্ত সুবিধার কাঁচামাল বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ইসলামপুর আনা হয়েছে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে শুল্ক গোয়েন্দা দল ওই পণ্যসহ গাড়িটি আটক করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, সেগুনবাগিচায় নিয়ে আসে। পরে ওই প্রতিষ্ঠানের আমদানি-রপ্তানিসহ যাবতীয় কার্যক্রম অনুসন্ধানের জন্য শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি খোঁজ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ১২০ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির তথ্য জানতে পারে।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ