২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ভোর ৫:১২

গাছে বেঁধে বাবা-ছেলেকে প্রহার করায় আটক ৩

প্রতিনিধি:

শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামে চুরির অপবাদ দিয়ে জনসম্মুখে গাছে বেঁধে বাবা-ছেলেকে নির্যাতন করা মামলায় পুলিশ ৩ জনকে আটক করেছে। এদের মধ্যে ২ জনকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অপরজনের বিষয় তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে এ ঘটনায় ওই এলাকার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিফের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ করেছে মামলার বাদী।

অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিফ বলছেন, তিনি নির্যাতিতদের থানায় মামলা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

মামলার বাদী ফহিমা বেগম ও পালং মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, গত শবে বরাতের রাতে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের হালিম বেপারীর বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। ওই চুরির ঘটনায় ৯ মে সকালে পার্শ্ববর্তী এলাকার দিন মজুর খোকন মোল্যার ছেলে ও চন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী শামীমকে সন্দেহ করে ধরে নিয়ে কোমরে লোহার শেকল দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেদম মারপিট করে হালিম বেপারী ও তার লোকজন।

একই দিন সকাল সাড়ে ৯টার সময় শামিমের বাবা খোকন মোল্যা ভ্যান চালিয়ে চন্দ্রপুর বাজারে যাওয়ার সময় তাকেও ধরে নিয়ে বাবা ও ছেলেকে একই গাছের সঙ্গে শিকলে বেঁধে বেদম মারপিট করে বাবাকে বিকাল ৩টায় ছেড়ে দেয়া হয়। দিন ভর শিশু শামিমকে নির্মম নির্যাতন করার পর খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সন্ধ্যা ৭টায় শামিকে উদ্ধার করে। এর পর বাবা-ছেলে অসুস্থ হয়ে পরলে পরদিন সকালে তাদের দুইজনকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে শিশু শামিম ও তার পিতা খোকন মোল্যা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

এ ঘটনার গত ৪ দিন পর নির্যাতিত শিশু শামিমের মা ফাহিমা বেগম বাদী হয়ে হালিম বেপারীসহ ৫ জনকে আসামি করে সোমমবার রাতে পালং মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ সোমবার রাতেই করম আলী বেপারী, শাহেদ বেপারী ও সুমন বেপারীকে গ্রেফতার করে।

দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ

প্রকাশ :মে ১৫, ২০১৮ ৮:৩৫ অপরাহ্ণ