নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, খুলনার নির্বাচনই প্রমান করছে নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ। তারা জনগনের পক্ষে নয়, গণতন্ত্রের পক্ষে নয়। এই নির্বাচনের পর পর্যালোচনা করে বিএনপিকে নতুন কর্মকৌশল নির্ধারণ করতে হবে। খুসিক নির্বাচনের পর ইসির উপর কতটা আস্থা রাখা যায় তা চিন্তা করতে হবে।
তিনি বলেন,সরকার এখন উলঙ্গ হয়ে গেছে, তাই তাদের আর লজ্জা শরমের কোনো বালাই নাই।
নোমান বলেন, স্বৈরাচারী সরকার নিজেদের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতেই নির্লজ্জের মতো সংবিধানে প্রদত্ত জনগনের অধিকারকে পদদলিত করছে। গুম-খুনের মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি করে জনগণের মুখে তালাবদ্ধ করতে চাচ্ছে। সরকার ভুলে গেছে জনস্রোতের কাছে কোন স্বৈরাচারই টিকে থাকতে পারে না।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তির দাবিতে জিয়া সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি মো: হাসানুল ইসলাম রাজার সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন সাবেক মন্ত্রী গৌতম চক্রবর্তী, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, এনডিপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বিএনপির নির্বাহী সদস্য রফিক শিকদার, মুহম্মদ সালাউদ্দিন খান, বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সাত্তার খান, মীর হোসেন মিলন প্রমুখ।
আব্দুল্লাহ আল নোমান বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেয়া প্রসঙ্গে বলেন, দেশনেত্রীকে কারাগারে নেয়া হয়েছে মুক্তি দেবার জন্য নয়। সরকার তাকে কারাগারে রেখেই আগামী নির্বাচনের বৈতরণী পার হতে চাচ্ছে। কারণ সরকার বেগম জিয়ার জনপ্রিয়তাকে ভয় পায়।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী শুধু বিএনপির নেত্রী নন। তিনি গণতন্ত্রের নেত্রী, জনগণের নেত্রী। দেশপ্রেমিক-গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যের প্রতীক।
তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক চেতনার কাছে সকল অপশক্তির পরাজয় অনিবার্য। রাজপথ আর রাজনৈতিক সংগ্রামের মাধ্যমেই বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নাই।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ