আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরের পর সেটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করতে যাচ্ছেন অধিকাংশ ইউরোপীয় কূটনীতিক। উদ্বোধনীতে অংশ নিতে ইতিমধ্যে মার্কিন প্রতিনিধিরা ইসরাইলে অবতরণ করেছেন। রোববার সন্ধ্যা থেকেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উষ্ণ অভ্যর্থনার মাধ্যমে শুরু হতে যাচ্ছে দূতাবাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। কিন্তু ইসরাইলের অধিকাংশ ইউরোপীয় কূটনীতিক তাতে অংশ নিচ্ছেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।-খবর হারেটজ অনলাইনের।
জেরুজালেমের পার্শ্ববর্তী আরনোনায় যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটে সোমবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভানকা, তার জামাতা জারেড কুশনার, অর্থমন্ত্রী স্টিভ মেনুচিন ও কংগ্রেসের ১২ সদস্য রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলে। ইসরাইলে বিভিন্ন দেশের ৮৬ রাষ্ট্রদূতের মধ্যে ৩০ জন রোববারের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। হাংরি ও চেক রিপাবলিক প্রতিনিধিরা যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগের কঠোর বিরোধিতা করেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাকি প্রতিনিধিরা আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রাশিয়া, মিসর ও মেক্সিকোর প্রতিনিধিরাও থাকছেন না মার্কিন দূতাবাসের উদ্বোধনীতে। ইসরাইলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রেডম্যান শুক্রবার বলেন, জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত ইসরাইলের সঙ্গে স্বার্থের কারণে নেয়া হয়নি। বরং যুক্তরাষ্ট্র নিজের স্বার্থেই এমন এ উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, কয়েক দশক থেকে ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমে স্বীকৃতিতে ভেটো দিয়ে আসছে। কিন্তু উদ্দেশ্য সাধনের জন্য এটি কোনো সহায়ক উপায় হতে পারে না। এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। লোকজন এটিকে মেনে নিয়েছেন।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি