সেনাবাহিনী ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, শনিবার ভোরে রাজ্যের চীন সীমান্তে এ অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। সেখানে অস্ত্রধারী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে সেনাদের ভারী গুলি বিনিময় হয়। খবর: এএফপি ও দ্য স্ট্রেইট টাইমস।
পশ্চিমাঞ্চলের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চালানো অভিযান নিয়ে কড়া সমালোচনার মধ্যেই সেনাবাহিনী শান প্রদেশে অভিযান চালাল।
তবে মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন, চীনের সীমান্ত ঘেঁষা শান প্রদেশে সাম্প্রতিক সময়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা বেড়ে গেছে। রোহিঙ্গা সংকট বিশ্ববিবেকের দৃষ্টিতে থাকায় এখানকার ক্ষুদ্র গোষ্ঠীগুলোর মানবাধিকার লঙ্ঘন তেমন আলোচনায় আসছে না।
গতবছরের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। এ অভিযানের মুখে প্রাণ বাঁচাতে ৭ লাখের বেশি মুসলিম রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো এই অভিযানে ‘জাতিগত নিধন’ ও ‘গণহত্যার’ অভিযোগ এনেছে।
তবে বরাবর মিয়ানমার এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। ইতোমধ্যে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ চুক্তি করেছে।
শনিবার ভোরে মূলত শান রাজ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) সদস্যদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ হয়।
অন্যান্য গোষ্ঠীর সঙ্গে টিএনএলএ উত্তরাঞ্চলের স্বাধীনতার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করে আসছে।
টিএনএলএ’র মুখপাত্র মেজর মাই এইক কাইয়াও বলেন, ‘শনিবার ভোর পাঁচটার দিকে তিনটি স্থানে সংঘর্ষ হয়েছে। এর মধ্যে মুসের দুটি সেনা এলাকা এবং অন্যটি ল্যাসিও শহরের একটি সেতুর কাছে।’
এ ছাড়া শহরের আরও দুটি স্থানে সেনাদের সঙ্গে তার সংগঠনের সদস্যদের সংঘর্ষ চলছে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ