নিজস্ব প্রতিবেদক:
ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের শুরুতেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মধ্যে সংগঠনটির দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, বঙ্গবন্ধু হলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
আজ শুক্রবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে উদ্যানের মধ্যে এই মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে উপস্থিত সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। এ সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্যানে পৌঁছান।
ওই সংঘর্ষের সময় বিজয় একাত্তর হলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপসম্পাদক সাকিব আল হাসান, শাবাব, বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক সাদিকুর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আসিফ আরাফাত অয়নসহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে জাবির প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগ কর্মী বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাকর্মীরা ঢাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গায়ে হাত দেবে, এটা আমরা মানব না। এটা হতে পারে না।’
সরেজমিনে দেখা যায়, উদ্যানের মধ্যে রমনা কালীমন্দিরের পশ্চিম পাশে এ দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে সেখানে উপস্থিত ঢাবির এক নেতার মাথায় জাবি ছাত্রলীগের এক কর্মী বাঁশ দিয়ে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে আঘাতপ্রাপ্ত ওই কর্মীর সঙ্গে থাকা ঢাবির নেতাকর্মীরা পাশে থাকা লাঠি, বাঁশ, ইট-পাটকেল দিয়ে অপরপক্ষের নেতাকর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় ২০ মিনিট সংঘর্ষ চলতে থাকে।
এ সময় সম্মেলনে আসা ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাকর্মী চারদিকে ছোটাছুটি করতে থাকে। পরে ঢাবির ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের তাড়িয়ে দেয়।
দৈনিক দেশজনতা/ এন আর