নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিতকরণে ভোটের চার দিন আগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সক্ষমতা ও নিরপেক্ষতাকে আবারও প্রশ্নবিদ্ধ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘আমরা ভোটে আছি, থাকব। তবে কমিশনের আগ্রহ রয়েছে ভালো নির্বাচনে। কিন্তু তাদের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। শেষ পর্যন্ত কমিশন পুলিশ-প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে কিনা তা নিয়েও আশঙ্কা আছে জনমনে।’
বৃহস্পতিবার (৯মে) বিকেলে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশারের সঙ্গে একগুচ্ছ দাবি নিয়ে সাক্ষাত করেন।
কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করে বলেন, ‘বিএনপির মূল দাবি খুলনায় শান্তিপূর্ণ ভোট হোক। কিন্তু ইতোমধ্যে নেতাকর্মী ও এজেন্টদের গ্রেফতার-ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। পুলিশের ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত কর্মীরা।’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘তাহলে তো সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে এটা বড় বাধা। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা বিঘ্নিত হয় এতে। এখন আর সরকারের দায় নয়, আমরা নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করছি।’
ইসির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘গত ক’দিনে গ্রেফতার বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। পাশাপাশি নতুন করে যেনো আর কাউকে গ্রেফতার করা না হয় তা কমিশনকেই নজরে রাখতে হবে। এজেন্টদের বাড়িঘরে হামলা-মারধর বন্ধ করতে হবে।’
এসময় তিনি খুলনার পুলিশ কমিশনারসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তার প্রত্যাহার দাবি করেন।
পরে ইসি সচিব বিএনপির দাবির বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান, বিএনপির একগুচ্ছ দাবি কমিশন বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছে। অযথা কাউকে যেনো হয়রানি করা না হয় সে বিষয়টি দেখা হবে।
‘পুলিশ কর্মকর্তাদের এখনই প্রত্যাহার সম্ভব না হলেও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার বিষয়ে আমরা নির্দেশ দেবো’-যোগ করেন ইসি সচিব।
দৈনিক দেশজনতা/ এন আর