নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি না হলে আগামী রবিবার থেকে সারাদেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়। এর আগে কোটা বাতিল-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের দাবিতে বুধবার বেলা ১১টায় সারা দেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা করেছিল আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এদিকে সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার (১১ এপ্রিল) পরও সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন এখন পর্যন্ত জারি না হওয়ায় হতাশ হয়েছেন আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীরা। প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে তাদের দেয়া দ্বিতীয় দফার আল্টিমেটাম সোমবার (৭ মে) শেষ হয়।
এরপর মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে আন্দোলনকারীরা। বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। গেজেট প্রকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে একটি মহল ষড়যন্ত্র করে আন্দোলনকারীদের সরকারের বিপক্ষে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করে শিক্ষার্থীরা।
এর আগে কোটা সংস্কার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘোষণা পরবর্তী আওয়ামী লীগের মনোভাব জানতে গত ২৭ এপ্রিল দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের বাসায় বৈঠকে বসেন শাহবাগের কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নেতারা। ঐদিন রাত ৯টার দিকে আন্দোলনকারীদের ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধ দল রাজধানী ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ–সংলগ্ন ন্যাম ভবনে প্রবেশ করে। সেখানে ছিলেন আওয়ামী লীগের আরেক কেন্দ্রীয় নেতা এনামুল হক শামীম।
সেদিন রাতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন এই বলে যে, প্রধানমন্ত্রী (প্রধানমন্ত্রী তখন বিদেশে সফররত ছিলেন) দেশে ফিরলে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আন্দোলনকারীরা আগেই বলেছিলেন, যদি চলতি (এপ্রিল, ২০১৮) মাসের মধ্যে প্রজ্ঞাপন না হলে তারা মে মাস থেকে আবারও আন্দোলনে নামবেন।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

