নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বেপরোয়া দুই বাসের চাপায় তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেনের হাত বিচ্ছিন্ন এবং পরবর্তীতে তার মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১০ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (৯মে) মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবী নতুন এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে ২৩ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবীর আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক আফতাব আলী মূল মামলার ধারার সঙ্গে পেনাল কোডের ৩০৪ এর খ সংযোজন করার অনুমতি চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। যার সর্বোচ্চ শাস্তি তিন বছরের কারাদণ্ড।
এ সময় দুই বাসের প্রবল চাপে গাড়ির পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা রাজীবের ডান হাত কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এতে তার মাথায়ও প্রচণ্ড আঘাত লাগে। দুর্ঘটনার পর তাকে প্রথমে শমরিতা হাসপাতালে ও পরে ঢামেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। ১০ এপ্রিল ভোর পৌনে ৪টায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন রাজীব। এরপর ওই দিন সকাল ৮টায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। ১৭ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় রাজীব মারা যান।
৩ এপ্রিল রাজীব বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় পেনাল কোডের ২৭৯/৩৩৮ এর ক ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ১১(৪)১৮। ২৭৯ ধারার সর্বোচ্চ শাস্তি তিন বছর ও ৩৩৮ ধারার সর্বোচ্চ শাস্তি দুই বছরের জেল। মামলার পরই বিআরটিসি বাসের চালক ওয়াহিদ ও স্বজন পরিবহনের বাসের চালক মো. খোরশেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তারা কারাগারে আটক রয়েছেন।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ