নিজস্ব প্রতিবেদক:
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (ভোকেশনাল), বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, ডিপ্লোমা ইন কমার্স কোর্সে ভর্তি নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ৯ থেকে ৩০ মে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ১ জুলাই থেকে শুরু হবে ক্লাস।
গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, একাদশে সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি মফস্বল/পৌর (উপজেলা) এলকায় এক হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় দুই হাজার টাকা, ঢাকা ব্যতীত অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলকায় তিন হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছে। ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ শিক্ষাবর্ষে (কোর্সভিত্তিক তার আগে পাস করা) এসএসসি ও সমমান পাস শিক্ষার্থীরা চার বছর, তিন বছর, দুই বছর ও এক বছর ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি আবেদন করতে পারবে।
মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার টাকার বেশি আদায় করা যাবে না। মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত আংশিক এমপিওভুক্ত বা এমপিও বহির্ভুত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা হিসেবে শিক্ষার্থী ভর্তির সময় ভর্তি ফি, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফিসহ বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৯ হাজার এবং ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, এবার একাদশে ভর্তি শতভাগ মেধা কোটার পাশাপাশি (মুক্তিযোদ্ধা-৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী কোটায় -৫ শতাংশ, এসএসসি (ভোকেশনাল) কোটায় ১৫ শতাংশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধ:স্তন দফতরসমূহ ২ শতাংশ, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরাধীন প্রতিষ্ঠানসমূহে মেয়েদের ২০ শতাংশ, অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য সংরক্ষিত মহিলা কোটায় ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ঢাকা, চট্টগ্রাম, কাপ্তাই পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে প্রতিটিতে চারটি করে আসন ও অন্যান্য ইন্সটিটিউিটে দুইটি নির্ধারণ থাকবে। যদি এসব কোটায় উপযুক্ত প্রার্থী না পাওয়া যায় তবে এ আসনে অন্য কাউকে ভর্তি করা যাবে না।
নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, একাদশে ভর্তির জন্য অনলাইনে আগামী ৯ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত চলবে। পহেলা জুলাই থেকে ক্লাস শুরু হবে। মাইগ্রেশনসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করে ২৭ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম চলবে। আসন খালি থাকলে এ সময় আরও বাড়ানো হবে। আগামী ১ জুলাই ক্লাস কার্যক্রম শুরু হবে।
বলা হয়েছে, সরকারি কলেজসমূহে সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ফি সংগ্রহ করবে। দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির ক্ষেত্রে এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। এ নীতিমালার কোনো ব্যত্যয় ঘটানো হলে বেসরকরি কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পাঠদানের অনুমতি বা স্বীকৃতি বাতিলসহ কলেজটির এমপিওভুক্তি বাতিল করা হবে। সরকারি কলেজের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভর্তি হওয়া কোনো শিক্ষার্থী ক্লাস শুরু হওয়ার পর সাত দিন অনুপস্থিতি থাকলে তার ভর্তি বাতিল বলে গণ্য হবে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ