নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশি তরুণীকে ভারতে পাচার করে পতিতালয়ে বিক্রির দায়ে দুই নারীসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষনা করেন। দণ্ডিত আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাহমুদপুর বাদামতলা গ্রামের রহিমা খাতুন, মাসুরা খাতুন, আবদুর রশীদ ও আবদুল জলিল । আসামিদের একজন আশরাফুল ইসলামকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া আদালত দণ্ডিতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস সশ্রম কারাদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার সময় জামিনে থাকা আসামিরা রায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
মামলার বিবরনে জানা গেছে ২০১০ সালের ২ জানুয়ারি মাহমুদপুর বাদামতলা গ্রামের গীতা রানীর মেয়ে রুপালি দাসীকে দণ্ডিত আসামিরা ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে সাতক্ষীরার কুশখালি সীমান্ত পথে ভারতে পাচার করে মুম্বই পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়। রুপালি সেখান থেকে তার মায়ের সাথে যোগাযোগ করে মোবাইল ফোনে এই তথ্য জানায় এবং তাকে উদ্ধার করতে বলে। পরে গীতা রানী এ বিষয়ে আদালতে মামলা করেন ।
আদালত প্রত্যেক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।
দৈনিক দেশজনতা/ এন আর