নিজস্ব প্রতিবেদক:
উচ্চ আদালতের নির্দেশে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে করণীয় নির্ধারণে বৈঠকে বসছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা জানান, রবিবার সন্ধ্যায় সাতটার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠকটি শুরু হওয়ার কথা। এতে স্থায়ী কমিটিসহ সিনিয়র নেতারা অংশ নেবেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘রাতে আমরা মিটিং করে পরে দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবো।’
রবিবার দুপুরে একটি রিট আমলে নিয়ে বিচারপতি নাইমা হয়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিন মাসের স্থগিতাদেশ দেন।
বিএনপির শীর্ষ নেতাদের অভিযোগ গাজীপুরে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত সরকারি দলের চিন্তা-ভাবনার প্রতিফলন। সরকার ইচ্ছা করে সীমানা নির্ধারণের ফাঁকফোঁকর রাখায় এই ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়াও নির্বাচনের পরিবেশ সরকারি দলের পক্ষে না থাকায় এমন অবস্থা করা হয়েছে বলেও মনে করেন কেউ কেউ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে সরকারের ইচ্ছায় গাজীপুর সিটি নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।’
দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ যখনই ভোট দিতে যাবে, তখনই নির্বাচন বন্ধ। যখনই তাদের মনে হচ্ছে নির্বাচনের গতিবিধি তাদের পক্ষে নেই তখনই ভোট ডাকাতি করতে হবে। নইলে ভোট বন্ধ করে দিতে হবে। এই দুইটা থেকে একটা।’
দলের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘সীমানা নির্ধারণের ফাঁকটা বরাবরই রেখেছে সরকার। পরিবেশ যদি সরকারি দলের অনুকূলে থাকত তাহলে হয়তো এই বিষয়টি সামনে আসত না।’
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘নির্বাচনকে যারা ভয় পায়, একতরফা জাতীয় নির্বাচন করে যারা ক্ষমতা দখল করে, তাদের তো ক্ষমতা দখলের মানসিকতাই থাকবে। সেখানে জনগণের রায় আছে কি না সেই পরীক্ষা দেয়ার সৎ সাহস তো তাদের নেই। তারা তাদের নিশ্চিত ভরাডুবি ঠেকানোর জন্যই সরকারি সংস্থা বা বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্টের আলোকে এই কাজ করেছে।’
আলাল আরও বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে আইনি লড়াই করবো। আমরা এ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে আদালতে যাচ্ছি শিগগিরই এবং এই নির্বাচনী কর্মকাণ্ড যাতে আবার দ্রুত শুরু হয় সে ব্যাপারে আমরা ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিয়েছি।’
বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘গাজীপুরে আওয়ামী লীগের অবস্থা যে একবারে তলানিতে এসে পৌঁছেছে- তা অন্তত তারা বুঝতে পেরেছে। বুঝতে পেরেই হাইকোর্টের রিট করে তারা নির্বাচন স্থগিত করলো। যদি নূন্যতম শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন হতো তাহলে আওয়ামী লীগ খড়কুটোর মতো ভেসে যেত। পরিস্থিতি এমনই ছিল।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ