লাইফ স্টাইল ডেস্ক:
এখন মধু মাস। আম পাকতে শুরু করেছে। বাজারে ইতোমধ্যে পাকা আম চলেও এসেছে। আমে খনিজ লবণ এবং ভিটামিন উপাদান (ভিটামিন এ ভিটামিন সি, ভিটামিন-বি৬), পটাসিয়াম, কপার লৌহ এবং এমাইনো এ্যাসিড রয়েছে। এছাড়াও আমে বায়োলজিকাল উপাদান, প্রো ভিতামিন এ বেটা ক্যারোটিন, লুশিয়েন এবং আলফা ক্যারোটিন পলি পিথানল কিউরেচিন কাম্ফারল, জিলাইক এ্যাসিড, ক্যফিক এ্যাসিডসহ আরও অনেক উপাদান রয়েছে যা স্বাস্থের জন্য অনেক উপকারী।
১) পাকা আম ত্বক সুন্দর, উজ্জ্বল ও মসৃণ করে। এটি ভেতর ও বাইরে থেকে উভয়ভাবেই ত্বককে সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। আম ত্বকের লোমের গোড়া পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে ও ব্রণের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে।
২) পাকা আম ত্বকের রোমের গোড়া পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে ফলে মুখের ও নাকের উপর জন্মানো ব্ল্যাকহেড দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১০০ গ্রাম পাকা আম খেলে মুখের কালো দাগ দূর হয়।
৩) পাকা আমের আঁশ, ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ হওয়ায় হজমে সহায়তা করে। এতে আছে প্রয়োজনীয় এনজাইম যা শরীরের প্রোটিন অণুগুলো ভেঙ্গে ফেলতে সাহায্য করে যা হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৪) আমে প্রায় ২৫ রকমের বিভিন্ন কেরাটিনোইডস যা আপনার ইমিউন সিস্টেমকে রাখবে সুস্থ ও সবল।
৫) এককাপ আম আপনার দৈনন্দিনের ভিটামিন ‘এ’ এর চাহিদার প্রায় পঁচিশ শতাংশের যোগান দিতে পারে? ভিটামিন ‘এ’ চোখের জন্য খুবই উপকারী। এটি চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা করে।
৬) এই ফলে পাওয়া যায় টারটারিক এ্যাসিড, ম্যালিক এ্যাসিড ও সাইট্রিক এ্যাসিড যা শরীরে অ্যালকালাই বা খার ধরে রাখতে সহায়তা করে অনেকাংশেই।
৭) আমের মধ্যে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কিনা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। স্তন, লিউকেমিয়া, কোলনসহ প্রোস্টেট ক্যান্সারকেও প্রতিরোধে সহায়তা করে। এতে প্রচুর এনজাইমও পাওয়া যায়।
৮) পাকা আম টাশিয়ামসমৃদ্ধ হওয়ায় হার্টবিট ও রক্তস্বল্পতা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এটি কোলন ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, লিউকেমিয়াসহ প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে আম।
৯) পাকা আম রক্ত পরিষ্কার করে আমের টারটারিক, ম্যালিক, সাইট্রিক এ্যাসিড শরীরে অ্যালকোহল ধরে রাখতে সহায়তা করে।
১০) আমের ভেষজ গুণ আমাদের স্কিন ক্যান্সারসহ ভিভিন্ন জটিল রোগ নিরাময় করে।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ