অনলাইন ডেস্ক:
জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নারীই সাহসের বাতিঘর। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ভোরের কাগজ ও প্রীতিলতা ট্রাষ্ট আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।
প্রীতিলতা ওয়েদ্দেদারের ১০৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বিদ্রোহে বিপ্লবে এ মাটির অগ্নিকন্যা’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
স্পিকার বলেন, ‘বোনেরা নিজেদের দূর্বল ভাববেন না’। শত প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে নারীরা এগিয়ে যায়। সময়ের প্রয়োজনে বাংলার নারীরা পিছপা না হয়ে অগ্রসর হয়েছে সম্মুখ পানে। ভবিষ্যতেও নারীদের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। প্রত্যেক নারীই তার নিজের অধিকার নিজেই প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম।
শিরীন শারমিন বলেন, পরাধীনতার নাগপাশ থেকে মুক্ত হতে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে প্রীতিলতা যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, তা যুগ যুগ ধরে সব নারী তথা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা যোগাবে ।
তিনি বলেন, নারী নেতৃত্ব তথা প্রীতিলতার নেতৃত্বের গুণাবলীর প্রতি আস্থা রেখেই মাষ্টার দা সূর্য্য সেন প্রীতিলতাকে গুরু দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের অধিকারী আমরা। দেশের স্বাধীনতার জন্য আমাদের অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। পরাধীনতার নাগপাশ থেকে দেশমাতৃকাকে মুক্ত করতে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতেও প্রস্তুত ছিলেন প্রীতিলতা। এ দেশকে আজকের পর্যায়ে নিয়ে আসতে যেসব নারীরা অবদান রেখেছেন তাদের জীবন ও কর্ম সম্পর্কে শিখতে ও জানতে হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের জীবনী থেকে বিশ্লেষণধর্মী বিষয়গুলোকে চিহ্নিত করতে হবে এবং তা থেকে শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে। সেগুলো অনুসরণ করে নিজেদের জীবনে কাজে লাগাতে হবে। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্যও তা অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।
১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৭৫ পরবর্তী সময়ের পর স্বাধীনতার চেতনায় দেশকে ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। সুতরাং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনেও নারীর পরিচয় দেখতে পাওয়া যায়।
সভায় বক্তারা ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে প্রথম নারী আত্মোৎসর্গকারী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমতাজ বেগম, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক পরিচালক হান্নানা বেগম, মুক্তিযোদ্ধা ও নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর, নাট্য ও সংগীত ব্যক্তিত্ব শম্পা রেজা ও প্রীতিলতা ট্রাষ্টের সাধারণ সম্পাদক পংকজ চক্রবর্তী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিজেরা করি’র নির্বাহী পরিচালক খুশি কবীর।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মঙ্গল প্রদ্বীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে সংগীত পরিবেশন করে খেলাঘরের শিল্পীরা। বাসস
দৈনিক দেশজনতা/ এন আর