নিজস্ব প্রতিবেদক:
আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘নির্লজ্জ ও অনৈতিক সরকারের’ উদাহরণ মনে করেন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি কামাল হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘এই সরকার কতটা নীতিহীন এবং কতটা স্বৈরশাসক হতে পারে তা এই সরকারের আচরণই প্রমাণ করে।’
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টর শামছুল হক চৌধুরী হলে এক মতবিনিময়ে গণফোরাম নেতা এসব কথা বলেন।
‘আইনের শাসন ও গণতন্ত্র’শীর্ষক এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। এই সমিতির নেতৃত্বে থাকা প্রায় সবাই বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত। কামাল হোসেন বলেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আমাকে বলেছিল আর একটি নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু এর পর ২০১৪, ১৫, ১৬, ১৭ গেল নির্লজ্জভাবে তারা এখনও দেশ চালিয়ে যাচ্ছে।’
‘বর্তমান সরকারের লজ্জা নেই, নীতি নেই। এরা আমাদের ওপর বসবে, আর আমরা মেনে নেব? আসুন সব আইনজীবী ঐক্যবদ্ধ হয়ে জেলায় জেলায় আন্দোলন ছড়িয়ে দেই। দলমত নির্বশেষে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হই। তা না হলে দেশ গভীর সংকটে পড়বে।’
কামাল হোসেন বলেন, ‘দেশে ৫ জানুয়ারির মতো আর কোনো নির্বাচন নয়, আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। জনগণের ঐক্য থাকলে সব কিছু সম্ভব। এই নাগরিকদের ঐক্যের কারণে এরশাদের মতো এতো বড় স্বৈরশাসকের পতন হয়েছে।’
দেশে আইনের শাসন নেই উল্লেখ করে প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনী রায় দেয়ায় প্রধান বিচারপতিকে অন্যায়ভাবে, অসাংবিধানিকভাবে বিদায় করা হলো। আমরা এর বিচার চাই।’
বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, নাগরিক ঐক্যের নেতা মাহমুদুদর রহমান মান্না, আইনজীবী শাহদীন মালিক, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি বিএনপি নেতা জয়নুল আবেদীন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকর মাহবুব হোসেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক ব্যারিস্টার এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সিনিয়র সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, বিএফইউজে একাংশের সভাপতি রুহুল আমীনম গাজী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ