আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভয়াবহ ধূলিঝড়ে লন্ডভন্ড ভারতের উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরাখন্ড। তিন রাজ্য মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৭৪ জন। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশে মৃতের সংখ্যা ৪৫, রাজস্থানে এখনও পর্যন্ত নিহত হয়েছে ২৯ জন, উত্তরাখন্ডে নিহতের সংখ্যা ২। ভারতজুড়ে সব মিলিয়ে আহতের সংখ্যা প্রায় দেড় শতাধিক। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।
গতকাল বুধবার বিকালের পর থেকে প্রবল ধূলিঝড়ে ঢেকে যায় উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানের একাধিক জেলা। সেই সাথে চলে বজ্র বিদ্যুৎসহ প্রবল বর্ষণ। উত্তরপ্রদেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আগ্রা, বিজনৌর, সাহারানপুর, বরেলী জেলা। নিহতের সংখ্যা ৪৫, এরমধ্যে বহু নারী ও শিশু রয়েছে। আহত কমপক্ষে ৪০ জন।
রাজ্যটির রাজস্ব আদায় ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কমিশনার সঞ্জয় কুমার জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ত্রাণের বন্টন করা হবে। ঝড়-বৃষ্টির ফলে রাজ্যের স্বাভাবিক জনজীবন পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে রাজ্য প্রশাসনন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ শুরু করেছে। রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের ত্রাণ কাজ তদারকি করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে, রাজস্থানের ভরতপুর, ধোলপুর এবং আলওয়ারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই রাজ্যের নিহত ২৭ জন। এই রাজ্যটিতে আহতের সংখ্যা প্রায় শতাধিক। প্রবল বর্ষণ ও ধূলিঝড়ে পুরো রাজ্যে প্রায় শতাধিক গাছ উপড়ে গিয়েছে, উপড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি, ধসে পড়েছে একাধিক কাঁচা বাড়ি। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো বেগত পেতে হচ্ছে প্রশাসনকে। উদ্ধার কাজে নামানো হয়েছে পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও দুযোগ্য মোকাবিলা দলকে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিহত ও আহতদের ক্ষতিপুরণের ঘোষণা দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে এই ঘটনায় নিহতদের প্রতি শোকজ্ঞাপন করে দুর্গতদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। টুইট করে তিনি জানান ‘এটি অত্যন্ত দু:খজনক ঘটনা। আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি’।
দৈনিক দেশজনতা/ এন আর