স্বাস্থ্য ডেস্ক:
বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৯০ শতাংশই দূষিত বায়ুর মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাস নেন বলে জানিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
আজ বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, প্রতি বছর দূষিত বায়ু সেবনের কারণে গোটা বিশ্বে অন্তত ৭০ লাখ মানুষ মারা যান।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার একটি সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, পৃথিবীর প্রতিটি কোণায় বায়ুদূষণের সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে দরিদ্র দেশগুলোতে এই সমস্যা প্রকট।
ডব্লিউএইচওর এক গবেষণায় দেখা গেছে, দূষিত বায়ুর মধ্যে থাকা অতি সূক্ষকণার কারণে প্রতি বছর বিশ্বে ৭০ লাখের বেশি মানুষ মারা যান। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ মানুষই দরিদ্র বা মধ্যম আয়ের দেশ। আর এসব দেশের বেশিরভাগই এশিয়া ও আফ্রিকায় অবস্থিত।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গণস্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিভাগের প্রধান মারিয়া নেইরা বলেন, ‘আমরা এই মুহূর্তে খুবই নাটকীয় একটি সমস্যার মোকাবিলা করছি।’
গবেষণায় ২০৫ থেকে ১০ মাইক্রোমিটার ব্যাসের এবং ২.৫ মাইক্রোমিটার ব্যাসের চেয়ে ছোট কিন্তু বিপজ্জনক কণার বিষয়ে দৃষ্টিপাত করা হয়েছে। এসব কণায় থাকে সালফেট এবং ব্ল্যাক কার্বনের মতো টক্সিন। এগুলোর বিষক্রিয়ায় ফুসফুস এবং কার্ডিওভাস্কুলার ব্যবস্থা বা রক্ত সংবহন ব্যবস্থায় সমস্যা সৃষ্টি করে। এ কারণে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগ হয়।
এখানে উদ্বেগের বিষয় এটা যে, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশের বেশি মানুষের কাছে এখনো রান্নার জন্য ভালো জ্বালানি বা প্রযুক্তির নেই। রান্নার কাজে নোংরা জ্বালানি ব্যবহার বা কয়লা পোড়ানোর কারণে বায়ুদূষণ হয়। যার কারণে বিশ্বে অন্তত ৩০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী এবং শিশু।
এ ছাড়া ঘরের বাইরে দূষিত বায়ুতে শ্বাস নেওয়ার কারণে মারা যায় প্রায় ৪০ লাখ মানুষ। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ঘরের ভেতরের এবং বাইরের দুই জায়গাতেই বায়ুদূষণ এসব মৃত্যুর কারণ।
প্রতিবেদনটি তৈরির জন্য বিশ্বের ১০৮টি দেশের চার হাজার ৩০০ শহরের বায়ুর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ