অনলাইন ডেস্ক:
সব রাশির আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য থাকে। তাতেই বোঝা যায় কোন রাশির মেয়েরা কেমন হয়! অবশ্য স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নির্ভর করে দু’জনের স্বভাব-চরিত্রের উপরে। তাই আগেই জেনে রাখা দরকার কোন রাশির জাতিকা কেমন মেয়ে।
মেষ (২১ মার্চ–২০ এপ্রিল): সহজাত নেতৃত্ব দেবার ক্ষমতা থাকে। প্রতিটা দিন কর্মচঞ্চল করে রাখে। নিজের ক্ষমতার বেশি কাজের ভার নিয়ে ফেলে। একটা কাজ শেষ না করেই আরেকটা শুরু করার প্রবণতা দেখা যায়। নিজের মতামত জানানোর ব্যাপারে একেবারেই ঠোঁটকাটা।
বৃষ (২১ এপ্রিল – ২১ মে): এই রাশির জাতিকাদের প্রথম দর্শনে মনে হবে শান্ত ও মিষ্টি প্রকৃতির। রেগে গেলে তার আসল রূপ দেখা যায়। কবিতা, ফুল, এমন সব রোমান্টিক গিফট পেতে ভালবাসে। তাহলেই রাগ কমে যায়। তবে এরা খুবই একগুঁয়ে। মানসিক শক্তির দিক দিয়েও তারা যথেষ্টই সবল।
মিথুন (২২ মে–২১ জুন): মিথুনের মন বোঝা কঠিন। এদের মধ্যে একই শরীরে নানা মনের নারীর খোঁজ মেলে। কখন কেমন বোঝা কঠিন। কিন্তু এরা ব্যক্তিত্বে স্বতন্ত্র। পৃথিবীর সব কিছু নিয়েই এদের কৌতূহল। প্রশ্নের শেষ নেই। অনেক ক্ষেত্রেই সৃজনশীলতা দেখা যায়।
কর্কট (২২ জুন–২২ জুলাই): কর্কট রাশির জাতিকাদের মধ্যে চন্দ্রের প্রভাব প্রবল। চাঁদের কলা বাড়া-কমার মতোই ওঠানামা করে মেজাজ। সাধারণত সহজ-সরল, শান্তিপ্রিয়। তবে ভিতরে ভিতরে সব কিছু জটিল করে ভাবে। সব রাশির মধ্যে কর্কট রাশির মেয়ের বৈশিষ্ট্য বোঝা সবথেকে কঠিন। স্পর্শকাতর। সমালোচনা সইতে পারে না।
সিংহ (২৩ জুলাই–২৩ আগস্ট): এই রাশির জাতিকাদের মধ্যে সিংহের বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকতে চায়। যেমন বুদ্ধিমতী হয়ে থাকে, তেমনই শক্তিশালী চরিত্র। সৃজনশীলতা লক্ষ্য করা যায়। সঙ্গীর জীবনে তিনি হয়ে থাকতে চান সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।
কন্যা (২৪ আগস্ট– ২৩ সেপ্টেম্বর): কন্যা রাশির সত্যিই কন্যা। নারীসুলভ এবং চুপচাপ। তবে অবলা ভাবলে ভুল হবে। একটু চুপচাপ হলেও একেবারে শান্তশিষ্ট মোটেও নয়। কন্যা রাশির মেয়েদের নিজেকে ‘নিখুঁত’ করে গড়ে তোলার প্রবণতা দেখা যায়। নিজেকে আরও উন্নত করে তুলতে অনেক সময়ে তারা জীবনকে জটিল করে ফেলেন।
তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর–২৩ অক্টোবর): তুলা রাশির মেয়েদের বড় গুণ অন্যের সঙ্গে মিশতে পারা। তুলা নারীর প্রতি অন্যদের আকর্ষণও বেশি থাকে। এদের মধ্যে পরস্পরবিরোধী যৌক্তিক বিবেচনা এবং অযৌক্তিক আবেগ একসঙ্গে থাকে।
বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর–২২ নভেম্বর): বৃশ্চিক রাশির জাতিকা মানেই রহস্যময়ী। চুম্বকের মতো আকর্ষণে জড়িয়ে ফেলতে পারে। প্রকৃতির সঙ্গে একই সুরে বাঁধা থাকে এদের মেজাজ। এই আলো, এই মেঘ। সোজাসাপটা আচরণ পছন্দ করে। আত্মবিশ্বাসী, শক্তিশালী। পরিস্থিতি নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পছন্দ করে।
ধনু (২৩ নভেম্বর–২১ ডিসেম্বর): ধনু রাশির জাতিকাদের মধ্যে দার্শনিক বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। সব পরিস্থিতিতেই সত্যের খোঁজ করা এদের বৈশিষ্ট্য। সব অভিজ্ঞতাকেই মূল্যবান বলে মনে করে। জীবনের সার্থকতা খুঁজে বেড়ায়। খুব স্বতঃস্ফূর্ত এবং স্বাধীনচেতা।
মকর (২২ ডিসেম্বর–২০ জানুয়ারি): মকর রাশির জাতিকা উচ্চাকাঙ্ক্ষী। এই গুনটাই নিয়ে যায় সাফল্যের চূড়ায়। সাফল্য অর্জনের পথে কোনও বাধাই সহ্য করে না। একই সঙ্গে এরা খুবই একগুঁয়ে। তবে সহজে মেজাজ খারাপ করে না। মাথা ঠান্ডা রেখেই নিজের প্রতিযোগীকে হারিয়ে দেয়।
কুম্ভ (২১ জানুয়ারি–১৮ ফেব্রুয়ারি): কুম্ভ রাশির জাতিকারা কোনও বাঁধনে থাকতে রাজি নয়। চরিত্র বোঝা খুবই কষ্টকর। মেজাজ বাতাসের মতো পরিবর্তনশীল, এই মৃদুমন্দ তো এই ঝোড়ো। জীবনের প্রতি এদের মনোভাব ইতিবাচক। দুর্বলের প্রতি মায়া, মমতা বেশি। অনেকক্ষেত্রে সমাজসেবী হয়ে থাকে।
মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি–২০ মার্চ): মীন রাশির জাতিকাদের মধ্যে লুকিয়ে থাকে অনেক রহস্য। এরা প্রাণবন্ত, রোমান্টিক, স্পর্শকাতর। কিন্তু সেটা সহজে বুঝতে পারা যায় না। গভীর আধ্যাত্মিক বিশ্বাস থাকে। খুব সাধারণ কিছুর মধ্যেও অর্থ খুঁজে বেরায়। পরিচিত-অপরিচিত সবার প্রতিই দয়ালু হয়।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর