আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ডোমিনিকান রিপাবলিক তাইওয়ানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে চীনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। সোমবার রাতে ক্যারিবীয় এ দেশের সরকার এ কথা জানিয়েছে।
এদিকে বেইজিংয়ের ক্রমাগত প্রভাবে তাইপের মিত্র দেশের তালিকা ক্রমেই ছোট হচ্ছে। খবর এএফপি’র।
সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা পিপলস রিপাবলিকান অব চায়নার সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের বিশ্বাস এ সিদ্ধান্ত আমাদের দেশের ভবিষ্যতের জন্য অনেক ইতিবাচক হবে।’
‘ডোমিনিকান রিপাবলিক বিশ্বে এক চীন নীতিকে স্বীকৃতি দিচ্ছে এবং তাইওয়ান হচ্ছে চীন ভূ-খন্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ।’
চীনের মূল ভূখন্ড থেকে ১৯৪৯ সালের গৃহযুদ্ধে তাইওয়ান বেরিয়ে যায়। এরপর থেকে তাইওয়ান নিজেদের একটি সার্বভৌম দেশ হিসেবে দেখলেও তারা কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়নি। এদিকে চীন তাইওয়ানকে পুনরায় একত্র হওয়ার অপেক্ষায় থাকা তাদেরই ভূখন্ডের অংশ হিসেবে বিবেচনা করে থাকে।
বর্তমানে তাইওয়ানের সাথে বিশ্বের মাত্র ১৯টি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রয়েছে। গত বছরের জুনে পানামা তাইওয়ানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে চীনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। ২০০৭ সালে কোস্টারিকা অনুরূপ সম্পর্ক স্থাপন করে।
এদিকে তাইওয়ানের অন্যতম মিত্র ডোমিনিকান রিপাবলিক তাইপের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে চীনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করায় দেশটি ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে। খবর এএফপি’র।
ডোমিনিকান রিপাবলিকের সম্পর্ক ছিন্ন করার জবাবে তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উ সেদেশের সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতা বন্ধ ও কর্মকর্তাদের ডেকে পাঠানোসহ ক্যারিবীয় এ দেশের সাঙ্গে অবিলম্বে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ