ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, দীর্ঘ দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন অশোক মিত্র। ভর্তি ছিলেন মধ্য কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ওই হাসপাতালেই মারা যান তিনি।
আজ দুপুরে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে কলকাতার আলীপুরের বাসভবনে। সেখানে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তাঁর মরদেহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। এরপরে মরদেহ নিয়ে বের হবে একটি শোকমিছিল। এই মিছিল শেষ হবে দক্ষিণ কলকাতার কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। সেখানেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
অশোক মিত্র ১৯৭৭ সালে পশ্চিমবঙ্গের প্রথম বামফ্রন্ট সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে যোগ দেন তিনি। একটানা ১০ বছর দায়িত্ব পালন করলেও মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর সঙ্গে তাঁর মতদ্বৈধতা দেখা দিলে তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেন। ১৯৯০ সালে তিনি ভারতের সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য হন। শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানও হন তিনি। তিনি ভারত সরকারের কৃষিপণ্য কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন।
অর্থনীতিবিদ অশোক মিত্র প্রচুর লিখেছেন। প্রকাশিত হয়েছে তাঁর লেখা অর্থনীতির ওপর নানা গ্রন্থ। তিনি নিয়মিত লিখতেন কলকাতার নামী পত্রপত্রিকায়। পেয়েছিলেন সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার। ২০০৮ সালের ১ মে অশোক মিত্রের স্ত্রী গৌরী দেবী ৭৯ বছর বয়সে মারা যান।
অর্থনীতি বিষয়ের বই ছাড়াও শিল্পকলা, সাহিত্য, ভ্রমণ বিষয়ে তাঁর একাধিক বই আছে। তাঁর আত্মজীবনীমূলক বই ‘আপিলা-চাপিলা’ সুখপাঠ্য এবং পাঠক মহলে এটি ব্যাপক সাড়া জাগায় প্রকাশের পর। ‘ভারতের চিত্রকলা’, ‘ইওরোপের ভাস্কর্য’, ‘পশ্চিম ইওরোপের চিত্রকলা’ ‘ক্যালকাটা ডায়েরি’ অশোক মিত্রের বইগুলোর মধ্যে অন্যতম।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ