স্পোর্টস ডেস্ক:
ম্যাচের এক পর্যায়ে কলকাতার দরকার ছিল ২৪ বলে ৫৮ রান হাতে ছিল ৮ উইকেট। ১৭ তম ওভারে রানা রিটায়ার্ড হার্ট এবং আন্দ্রে রাসেল শূন্য রান করে আউট হলে বিপাকে পরে কলকাতা। কিন্তু তখনও ক্রিজে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান মারকুটে ব্যাটসম্যান ক্রিস লিন। ওপেনিংয়ে নেমে ৫২ বলে ৬২ রানের লড়াকু এক ইনিংস খেলে ৫ বল হাতে রেখেই কলকাতাকে চতুর্থ জয় এনে দেন তিনি।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর দেওয়া ১৭৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মারমুখী ভঙ্গিমায় খেলতে থাকেন কলকাতার দুই ওপেনার ক্রিস লিন ও সুনিল নারিন। তাদের দুজনের ৫৯ রানের জুটি ভাঙ্গেন ব্যাঙ্গালুরুর স্পিনার মুরুগান অশ্বিন। ১৯ বলে ২৭ রান করে নারিন আউট হলে দলের হাল ধরেন লিন এবং উত্থাপা।
২১ বলে ৩৬ রানের এক ঝড়ো ইনিংসেই কোহলিদের জয়ের আশা কার্যত শেষ করে দেন উত্থাপা। অপরপ্রান্তে ঠিকই নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ক্রিস লিন। শেষ তিন ম্যাচে এটি তার দ্বিতীয় অর্ধশতক। শেষ দিকে দীনেশ কার্তিকের ১০ বলে ২৩ রান করলে জয় নিশ্চিত হয় কেকেআরের। কার্তিক ১৯তম ওভারে আউট হলেও জয় পেতে তেমন সমস্যা হয় নি শাহরুখ খানের দলের।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক আর বেন্ডন ম্যাককালাম দুর্দান্ত সুচনা করেন। ৪৯ বলে গড়েন ৬৭ রানের জুটি গড়েন দুজন। ২৭ বলে ২৯ রান করে ডি কক আউট হলে ভেঙে যায় জুটি এরপর ২৮ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৩৮ রান করে আন্দ্রে রাসেলের শিকার হন ম্যাককালাম। তবে অন্য প্রান্তে বিরাট কোহলি ছিলেন অবিচল। ৭৫ রানে ৩ উইকেট হারানো ব্যাঙ্গালুরুকে এরপর বলতে গেলে একাই টেনে তুলেছেন বিরাট কোহলি। ৪৪ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ক শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৬৮ রানে। মানদ্বীপ সিং ১৯ আর শেষদিকে ৬ বলে অপরাজিত ৯ রান করেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। কলকাতা নাইট রাইডার্সের পক্ষে ৩১ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি